কীটনাশকের নামে ইটের গুড়া, প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৫০:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ভেজাল দানাদার কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক। একশ্রেণির অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন।
জেলাপর্যায়ে কীটনাশক পরীক্ষার নেই কোনো ব্যবস্থা। আর এই সুযোগে দেদারসে নিম্নমানের ভেজাল কীটনাশক ও সার বিক্রি হচ্ছে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের কৃষক হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে জানান, ৩৩ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেন তিনি। মরিচ ক্ষেত শুকিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় তারাটিয়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী নুনু শেখের দোকান থেকে দুই প্যাকেট দানাদার কীটনাশক কিনে ক্ষেতে ছিটান। কীটনাশক ছিটানোর সাত দিন পরও মরিচ ক্ষেতে গিয়ে দেখেন ছিটানো দানাদার কীটনাশক গলেনি।
পরে ক্ষেত থেকে ‘কীটনাশকের’ দানা পানিতে ভিজিয়ে দেখেন সব ইটের গুড়ো। দানাদার গুলো মুখে চাবিয়েও দেখেছেন তাদের শরীরে কোন প্রভাব পড়ে নাই। ভোল সারের কারণে তার প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ী নুনু শেখ জানান, এসআর কাছ থেকে প্যাকেটে কিনেই বিক্রি করেন তারা। কিন্তু ভেতরে কি আছে তা বলতে পারেন না তিনি।
এ বিষয়ে রোববার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস যুগান্তরকে বলেন, কীটনাশকগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কীটনাশকের নামে ইটের গুড়া, প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ভেজাল দানাদার কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক। একশ্রেণির অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন।
জেলাপর্যায়ে কীটনাশক পরীক্ষার নেই কোনো ব্যবস্থা। আর এই সুযোগে দেদারসে নিম্নমানের ভেজাল কীটনাশক ও সার বিক্রি হচ্ছে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের কৃষক হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে জানান, ৩৩ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেন তিনি। মরিচ ক্ষেত শুকিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় তারাটিয়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী নুনু শেখের দোকান থেকে দুই প্যাকেট দানাদার কীটনাশক কিনে ক্ষেতে ছিটান। কীটনাশক ছিটানোর সাত দিন পরও মরিচ ক্ষেতে গিয়ে দেখেন ছিটানো দানাদার কীটনাশক গলেনি।
পরে ক্ষেত থেকে ‘কীটনাশকের’ দানা পানিতে ভিজিয়ে দেখেন সব ইটের গুড়ো। দানাদার গুলো মুখে চাবিয়েও দেখেছেন তাদের শরীরে কোন প্রভাব পড়ে নাই। ভোল সারের কারণে তার প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ী নুনু শেখ জানান, এসআর কাছ থেকে প্যাকেটে কিনেই বিক্রি করেন তারা। কিন্তু ভেতরে কি আছে তা বলতে পারেন না তিনি।
এ বিষয়ে রোববার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস যুগান্তরকে বলেন, কীটনাশকগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।