কুমিল্লায় অপহৃত যুবক উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
ব্যবসার কাজে সিলেট থেকে কুমিল্লায় এসেছিলেন মো. ইসমাইল আলী (৩৫) নামে এক যুবক। কুমিল্লা এসে অপহণের শিকার হন তিনি। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেলে ইসমাইলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুকমিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনার একদিন পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ওই যুবককে উদ্ধারসহ তিন অপহরণকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যা্ব।
মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার বিস্তারিত জানান র্যাব-১১ সিপিসি কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
উদ্ধার হওয়া ওই যুবক সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার বগাইয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
গ্রেফতাররা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার বিনাহটি গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৬), কুমিল্লার চান্দিনা থানার শ্রীরল্লা গ্রামের মৃত. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সুজন ও ব্রাহ্মণপাড়া থানার টাকই রহমতপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে নূর মোহাম্মদ শরিফ (২৫)।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, রোববার ইসমাইল আলী ব্যবসার উদ্দেশ্যে কুমিল্লায় আসেন। পরবর্তীতে তিনি জেলার বুড়িচং থানার কংশনগর বাজারের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে যাত্রী ছাউনিতে অবস্থান করার সময় অপহরণকারী চক্রের একটি গ্রুপ তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর চক্রটি ইসমাইলের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার ভাইকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এছাড়া তাকে মারধর করে এবং টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আতঙ্কে ইসমাইলের পরিবার তাদের ২৫ হাজার টাকা দেয় বিকাশে।
তিনি জানান, পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণপাড়া থানার জিরুইন বটতলা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করি। এ সময় অপহরণকারী চক্রের কাছ থেকে ইসমাইলসহ মুক্তিপণের ৯ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা স্বীকার করে যে, তারা অপহরণ চক্রের সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বাইরে থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদের অপহরণ করে অপহৃতের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুমিল্লায় অপহৃত যুবক উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
ব্যবসার কাজে সিলেট থেকে কুমিল্লায় এসেছিলেন মো. ইসমাইল আলী (৩৫) নামে এক যুবক। কুমিল্লা এসে অপহণের শিকার হন তিনি। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেলে ইসমাইলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুকমিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনার একদিন পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ওই যুবককে উদ্ধারসহ তিন অপহরণকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যা্ব।
মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার বিস্তারিত জানান র্যাব-১১ সিপিসি কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
উদ্ধার হওয়া ওই যুবক সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার বগাইয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
গ্রেফতাররা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার বিনাহটি গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৬), কুমিল্লার চান্দিনা থানার শ্রীরল্লা গ্রামের মৃত. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সুজন ও ব্রাহ্মণপাড়া থানার টাকই রহমতপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে নূর মোহাম্মদ শরিফ (২৫)।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, রোববার ইসমাইল আলী ব্যবসার উদ্দেশ্যে কুমিল্লায় আসেন। পরবর্তীতে তিনি জেলার বুড়িচং থানার কংশনগর বাজারের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে যাত্রী ছাউনিতে অবস্থান করার সময় অপহরণকারী চক্রের একটি গ্রুপ তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর চক্রটি ইসমাইলের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার ভাইকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এছাড়া তাকে মারধর করে এবং টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আতঙ্কে ইসমাইলের পরিবার তাদের ২৫ হাজার টাকা দেয় বিকাশে।
তিনি জানান, পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণপাড়া থানার জিরুইন বটতলা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করি। এ সময় অপহরণকারী চক্রের কাছ থেকে ইসমাইলসহ মুক্তিপণের ৯ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা স্বীকার করে যে, তারা অপহরণ চক্রের সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বাইরে থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদের অপহরণ করে অপহৃতের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।