একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ ৫ নবজাতকের সবাই মারা গেল
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
০৯ নভেম্বর ২০২১, ২২:৫৬:২৮ | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ পাঁচটি শিশু একে একে সবাই মারা গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সর্বশেষ কন্যাশিশু কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেকক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে সব শিশু মারা গেছে বলে জানা যায়।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের (আরএমও) চিকিৎসক আশরাফুল আলম জানান, একসঙ্গে জন্ম নেয়া পাঁচটি শিশুর মধ্যে ছেলেশিশু ৩ নভেম্বর সকালে মারা যায়। বাচ্চাটির ওজন ছিল ৪৩০ গ্রাম এবং একই দিনে পরবর্তীতে দুটি মেয়ে শিশু মারা যায় তাদের ওজনও ৫০০ গ্রামের বেশি ছিল না। ৪ নভেম্বর চতুর্থ কন্যাশিশু মারা যায় এবং সর্বশেষ পঞ্চম কন্যাশিশুটি ইনটেনসিভ কেয়ারে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মারা গেছে।
তিনি আরও জানান, গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম নেয়া শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। বাচ্চাদের ওজন ছিল ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে। যে কারণে অনেক চেষ্টা করেও একটি শিশুও জীবিত রাখা সম্ভব হয়নি।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ সন্তান হারিয়ে বাবা সোহেল রানা আহাজারি করে বলেন, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী অথবা ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি একজন চা বিক্রেতা, আমার পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। হয়তো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে পারলে আমার শিশুগুলো বেঁচে থাকত।
উল্লেখ্য, কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী প্রসূতি সাদিয়াকে (২৪) ১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকাল ১০টায় প্রসূতি মায়ের ব্যথা অনুভবের ১৫ মিনিট পরই তিনি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুগুলো ঝুঁকিতে থাকলেও মা ছিলেন সুস্থ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ ৫ নবজাতকের সবাই মারা গেল
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ পাঁচটি শিশু একে একে সবাই মারা গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সর্বশেষ কন্যাশিশু কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেকক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে সব শিশু মারা গেছে বলে জানা যায়।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের (আরএমও) চিকিৎসক আশরাফুল আলম জানান, একসঙ্গে জন্ম নেয়া পাঁচটি শিশুর মধ্যে ছেলেশিশু ৩ নভেম্বর সকালে মারা যায়। বাচ্চাটির ওজন ছিল ৪৩০ গ্রাম এবং একই দিনে পরবর্তীতে দুটি মেয়ে শিশু মারা যায় তাদের ওজনও ৫০০ গ্রামের বেশি ছিল না। ৪ নভেম্বর চতুর্থ কন্যাশিশু মারা যায় এবং সর্বশেষ পঞ্চম কন্যাশিশুটি ইনটেনসিভ কেয়ারে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মারা গেছে।
তিনি আরও জানান, গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম নেয়া শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। বাচ্চাদের ওজন ছিল ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে। যে কারণে অনেক চেষ্টা করেও একটি শিশুও জীবিত রাখা সম্ভব হয়নি।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ সন্তান হারিয়ে বাবা সোহেল রানা আহাজারি করে বলেন, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী অথবা ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি একজন চা বিক্রেতা, আমার পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। হয়তো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে পারলে আমার শিশুগুলো বেঁচে থাকত।
উল্লেখ্য, কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী প্রসূতি সাদিয়াকে (২৪) ১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকাল ১০টায় প্রসূতি মায়ের ব্যথা অনুভবের ১৫ মিনিট পরই তিনি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুগুলো ঝুঁকিতে থাকলেও মা ছিলেন সুস্থ।