৯ বছর বাবাকে দেখতে না দেওয়ায় ঘর ছাড়ে তিন বোন (ভিডিও)
যশোর ব্যুরো
২০ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০৮:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর আদাবর হতে নিখোঁজ তিন বোন টিকটকে আসক্ত নয়। ৯ বছর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে, বাবাকে দেখতে না দেওয়ায় তারা তিনজন একসঙ্গে ঘর ছাড়ে। যশোরে এসে বাবার কাছে আশ্রয় নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া পশ্চিমপাড়ায় তাদের পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে।
তারা হলেন, রুকাইয়া আরা চৌধুরী (২১), জয়নব আরা চৌধুরী (১৯)ও খাদিজা আরা চৌধুরী (১৭)। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ঢাকা থেকে তাদেরকে টিকটকে আসক্ত বলা হলেও যশোর পুলিশের দাবি, তারা টিকটকে আসক্ত নয়, তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনও নেই।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার জানান, শুক্রবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনসারুল হক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া পশ্চিমপাড়া হতে ভিকটিম রুকাইয়া, জয়নব ও খাদিজাকে উদ্ধার করেছে। তাদের পিতা রফিকুজ্জামান ও মাতা মৃত তাসনিম আরা চৌধুরী।
তিনি জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে উত্তরা লেকসিটি কনকর্ডে ভাড়া বাসায় থাকত। ২০১২ সালের দিকে তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া হলে তাদের বাবা যশোর চলে আসেন এবং ভিকটিমরা মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থেকে যায়।
ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার আরও জানান, ভিকটিমদের বাবা রফিকুজ্জামান স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট ভিকটিমদের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ভিকটিম রুকাইয়া আরা চৌধুরীকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন তার খালা সাজিয়া নওরিন চৌধুরী এবং ভিকটিম জয়নব আরা চৌধুরী ও খাদিজা আরা চৌধুরীর লালন-পালনের দায়িত্ব নেন আরেক খালা সামিয়ারা চৌধুরী।
তিনি জানান, ভিকটিমদের লালন-পালনের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুহাম্মদপুর বাসা থেকে তিনজন ভিকটিম নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সাজিয়া নওরিন আদাবর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
ডিবি ওসি জানান, ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায়, তাদের বাবা-মা আলাদাভাবে বসবাসের পর হতে ২০১২ সালের পর তাদের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া তাদের ওপর অত্যাচার করা হতো। তাই ভিকটিম তিনবোন পরামর্শ করে মুহাম্মদপুর হতে পালিয়ে যশোরে বাবার বাড়ি চলে আসে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমদের বাবা এখন প্যারালাইজড ও শয্যাশায়ী। তার বাসায় এই তিন বসে এসে অবস্থান করছিলেন। তারা টিকটক আসক্ত; এই তথ্য সঠিক নয়। কারণ তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনও নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
৯ বছর বাবাকে দেখতে না দেওয়ায় ঘর ছাড়ে তিন বোন (ভিডিও)
রাজধানীর আদাবর হতে নিখোঁজ তিন বোন টিকটকে আসক্ত নয়। ৯ বছর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে, বাবাকে দেখতে না দেওয়ায় তারা তিনজন একসঙ্গে ঘর ছাড়ে। যশোরে এসে বাবার কাছে আশ্রয় নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া পশ্চিমপাড়ায় তাদের পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে।
তারা হলেন, রুকাইয়া আরা চৌধুরী (২১), জয়নব আরা চৌধুরী (১৯)ও খাদিজা আরা চৌধুরী (১৭)। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ঢাকা থেকে তাদেরকে টিকটকে আসক্ত বলা হলেও যশোর পুলিশের দাবি, তারা টিকটকে আসক্ত নয়, তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনও নেই।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার জানান, শুক্রবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনসারুল হক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া পশ্চিমপাড়া হতে ভিকটিম রুকাইয়া, জয়নব ও খাদিজাকে উদ্ধার করেছে। তাদের পিতা রফিকুজ্জামান ও মাতা মৃত তাসনিম আরা চৌধুরী।
তিনি জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে উত্তরা লেকসিটি কনকর্ডে ভাড়া বাসায় থাকত। ২০১২ সালের দিকে তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া হলে তাদের বাবা যশোর চলে আসেন এবং ভিকটিমরা মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থেকে যায়।
ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার আরও জানান, ভিকটিমদের বাবা রফিকুজ্জামান স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট ভিকটিমদের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ভিকটিম রুকাইয়া আরা চৌধুরীকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন তার খালা সাজিয়া নওরিন চৌধুরী এবং ভিকটিম জয়নব আরা চৌধুরী ও খাদিজা আরা চৌধুরীর লালন-পালনের দায়িত্ব নেন আরেক খালা সামিয়ারা চৌধুরী।
তিনি জানান, ভিকটিমদের লালন-পালনের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুহাম্মদপুর বাসা থেকে তিনজন ভিকটিম নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সাজিয়া নওরিন আদাবর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
ডিবি ওসি জানান, ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায়, তাদের বাবা-মা আলাদাভাবে বসবাসের পর হতে ২০১২ সালের পর তাদের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া তাদের ওপর অত্যাচার করা হতো। তাই ভিকটিম তিনবোন পরামর্শ করে মুহাম্মদপুর হতে পালিয়ে যশোরে বাবার বাড়ি চলে আসে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমদের বাবা এখন প্যারালাইজড ও শয্যাশায়ী। তার বাসায় এই তিন বসে এসে অবস্থান করছিলেন। তারা টিকটক আসক্ত; এই তথ্য সঠিক নয়। কারণ তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনও নেই।