পুলিশের কোলে শিশুকে রেখে ভোট দিতে গেলেন মা বণিতা
মাগুরা প্রতিনিধি
২৮ নভেম্বর ২০২১, ২২:০১:২২ | অনলাইন সংস্করণ
মাগুরার কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন বণিতা খাতুন। কিন্তু কোলের ছোট্ট শিশু আকাশ বারবারই কেঁদে উঠছে। লাইনের আগে-পিছে দাঁড়ানো অন্যরাও এতে বেশ বিরক্ত হয়ে উঠছেন। এ অবস্থায় সেখানে দায়িত্বরত এসআই আশরাফুল আলম কাছে গিয়ে কোলে তুলে নিলেন শিশুটিকে। আর মা বুথে ঢুকলেন ভোট দিতে।
ঘটনাটি মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের।
রোববার তৃতীয় ধাপে মাগুরার শালিখা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আড়পাড়া ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ হয়। এ ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেন বিশ্বাসের স্ত্রী বণিতা খাতুন সকাল ১০টার দিকে ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে ওই ভোট কেন্দ্রে যান। কিন্তু দীর্ঘ লাইন ধরে এগিয়ে যেতে অনেক সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কোলে ছোট্ট শিশুটি রোদের মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা সহায়তার হাত বাড়িয়ে শিশুটিকে কোলে তুলে নিলে মা ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশ করেন।
পুলিশের মানবিকতার এমন দৃশ্যে ভোট কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো অন্য নারীরাও বেশ বিস্মিত হয়ে পড়েন।
দায়িত্বরত পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম বলেন, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই দেখছি রোদে লাইনে দাঁড়ানো মায়ের কোলে শিশুটি অস্বস্তি বোধ করছে। কান্নাকাটিও করছে। লাইনে দাঁড়াতে শিশুটির মায়ের জন্য বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু আমি শিশুটিকে কোলে তুলে নেওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করতেই কান্না থেমে যায়। এতে আমার খুব ভালো লেগেছে।
ভোটদান শেষে শিশু আকাশের মা বণিতা খাতুন বলেন, পুলিশ মানুষকে কষ্ট দেয় এমন পরিচয়ই আমাদের জানা। কিন্তু আমার শিশুকে কোলে নেওয়ার পর তার কান্না থেমে গেছে। আমিও নিঃসংকোচে ভোট দিতে পেরেছি। পুলিশের এমন মানবিকতা দেখে আমারও ভালো লেগেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পুলিশের কোলে শিশুকে রেখে ভোট দিতে গেলেন মা বণিতা
মাগুরার কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন বণিতা খাতুন। কিন্তু কোলের ছোট্ট শিশু আকাশ বারবারই কেঁদে উঠছে। লাইনের আগে-পিছে দাঁড়ানো অন্যরাও এতে বেশ বিরক্ত হয়ে উঠছেন। এ অবস্থায় সেখানে দায়িত্বরত এসআই আশরাফুল আলম কাছে গিয়ে কোলে তুলে নিলেন শিশুটিকে। আর মা বুথে ঢুকলেন ভোট দিতে।
ঘটনাটি মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের।
রোববার তৃতীয় ধাপে মাগুরার শালিখা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আড়পাড়া ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ হয়। এ ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেন বিশ্বাসের স্ত্রী বণিতা খাতুন সকাল ১০টার দিকে ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে ওই ভোট কেন্দ্রে যান। কিন্তু দীর্ঘ লাইন ধরে এগিয়ে যেতে অনেক সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কোলে ছোট্ট শিশুটি রোদের মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা সহায়তার হাত বাড়িয়ে শিশুটিকে কোলে তুলে নিলে মা ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশ করেন।
পুলিশের মানবিকতার এমন দৃশ্যে ভোট কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো অন্য নারীরাও বেশ বিস্মিত হয়ে পড়েন।
দায়িত্বরত পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম বলেন, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই দেখছি রোদে লাইনে দাঁড়ানো মায়ের কোলে শিশুটি অস্বস্তি বোধ করছে। কান্নাকাটিও করছে। লাইনে দাঁড়াতে শিশুটির মায়ের জন্য বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু আমি শিশুটিকে কোলে তুলে নেওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করতেই কান্না থেমে যায়। এতে আমার খুব ভালো লেগেছে।
ভোটদান শেষে শিশু আকাশের মা বণিতা খাতুন বলেন, পুলিশ মানুষকে কষ্ট দেয় এমন পরিচয়ই আমাদের জানা। কিন্তু আমার শিশুকে কোলে নেওয়ার পর তার কান্না থেমে গেছে। আমিও নিঃসংকোচে ভোট দিতে পেরেছি। পুলিশের এমন মানবিকতা দেখে আমারও ভালো লেগেছে।