স্ত্রীকে আনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২১, ২০:৪৩:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে নিতে এসে বাবু মৃধা (২২) নামের এক জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত যুবক গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সমির মৃধা পাড়ার ইদ্রিস মৃধার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর পূর্বে বাবু মৃধার সঙ্গে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চরকর্ণেশন এলাকার আবুল শেখের মেয়ে সেতুর (১৯) বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ মাসের মধ্যে বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যায়। সে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কয়েক মাস ভাড়া বাড়িতে থাকলেও কিছুদিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। তবে সে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসতে চেয়েছিল।
বাবু মৃধার বাবা ইদ্রিস মৃধা জানান, রোববার বাবু আমার বাড়িতে এসেছিল। রাতে আমরা একসঙ্গে ভাত খাই। সে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসবে বলে আমাকে জানায়। সোমবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসবে বলে রাতেই শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়। পরদিন তার শ্বশুরবাড়ির পাশের এক লোক জানায় বাবু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, বাবু ওর স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরও আমি চেষ্টা করেছি ওদেরকে আমার সঙ্গে রাখতে।এ বিষয়ে ওর শ্বশুর আবুলকে বহুবার আমার বাড়িতে এসে ওদের বোঝানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি একবারও আসেননি। এমনকি বাবুর মৃত্যুর খবরটিও সে বা তার পরিবারের কেউ আমাকে জানায়নি।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাবুর লাশ ঝুলন্ত ছিল না। একটা নিচু আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দাড়িয়ে ছিল। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার তো বাড়িতে ফিরে এসে আমাদের সবার সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, রোববার দিনগত রাত ১০টার পর হতে সোমবার ভোর ৫ টার মধ্যে যে কোনো সময় বাবুর এ অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্ত্রীকে আনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে নিতে এসে বাবু মৃধা (২২) নামের এক জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত যুবক গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সমির মৃধা পাড়ার ইদ্রিস মৃধার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর পূর্বে বাবু মৃধার সঙ্গে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চরকর্ণেশন এলাকার আবুল শেখের মেয়ে সেতুর (১৯) বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ মাসের মধ্যে বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যায়। সে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কয়েক মাস ভাড়া বাড়িতে থাকলেও কিছুদিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। তবে সে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসতে চেয়েছিল।
বাবু মৃধার বাবা ইদ্রিস মৃধা জানান, রোববার বাবু আমার বাড়িতে এসেছিল। রাতে আমরা একসঙ্গে ভাত খাই। সে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসবে বলে আমাকে জানায়। সোমবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসবে বলে রাতেই শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়। পরদিন তার শ্বশুরবাড়ির পাশের এক লোক জানায় বাবু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, বাবু ওর স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরও আমি চেষ্টা করেছি ওদেরকে আমার সঙ্গে রাখতে।এ বিষয়ে ওর শ্বশুর আবুলকে বহুবার আমার বাড়িতে এসে ওদের বোঝানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি একবারও আসেননি। এমনকি বাবুর মৃত্যুর খবরটিও সে বা তার পরিবারের কেউ আমাকে জানায়নি।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাবুর লাশ ঝুলন্ত ছিল না। একটা নিচু আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দাড়িয়ে ছিল। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার তো বাড়িতে ফিরে এসে আমাদের সবার সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, রোববার দিনগত রাত ১০টার পর হতে সোমবার ভোর ৫ টার মধ্যে যে কোনো সময় বাবুর এ অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।