প্রতীক পাওয়ার পর তিনবার হামলার শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৩০:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান আজাদকে (আনারস) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে তিনবার তার ওপর হামলা চালানো হয়। এসব হামলার ঘটনায় নৌকার প্রার্থী এটিএম কামাল উদ্দিন জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
বুধবার রাতেও হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা আজাদকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার বাম হাত মারাত্মক জখম হয়। একই দিন বিকালে গণসংযোগ চলাকালে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। আজাদ দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিনুল ইসলাম আজাদ বলেন, নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে তিনবার আমার ওপর হামলা চালানো হয়। নৌকার কর্মীরাই আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে কাউকে চিনতে পারেননি তিনি।
জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে দত্তপাড়া ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই রাতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদের ওপর হামলা চালানো হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে পরদিন তিনি বিকালে গণসংযোগে নামেন।
দত্তপাড়া বাজারে গণসংযোগ চলাকালে নৌকার কর্মীরা তাকে বাধা দেয়। ওই সময় তাকে মারধরও করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা ফের তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম হাতে আঘাত করে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। পেছন থেকে হামলা করায় আজাদ কাউকে চিনতে পারেননি।
নৌকার প্রার্থী এটিএম কামাল উদ্দিন বলেন, আজাদকে কে বা কারা মারধর করেছে তা আমার জানা নেই। আমার কোনো কর্মী এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। ভোটের মাঠে আমাকে হেয় করতে আজাদ মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দত্তপাড়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। প্রার্থী নিজেও আমাকে কিছু বলেননি। নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষার্থে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছেন। হামলার শিকার প্রার্থী তাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নসহ ১৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রতীক পাওয়ার পর তিনবার হামলার শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান আজাদকে (আনারস) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে তিনবার তার ওপর হামলা চালানো হয়। এসব হামলার ঘটনায় নৌকার প্রার্থী এটিএম কামাল উদ্দিন জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
বুধবার রাতেও হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা আজাদকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার বাম হাত মারাত্মক জখম হয়। একই দিন বিকালে গণসংযোগ চলাকালে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। আজাদ দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিনুল ইসলাম আজাদ বলেন, নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে তিনবার আমার ওপর হামলা চালানো হয়। নৌকার কর্মীরাই আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে কাউকে চিনতে পারেননি তিনি।
জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে দত্তপাড়া ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই রাতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদের ওপর হামলা চালানো হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে পরদিন তিনি বিকালে গণসংযোগে নামেন।
দত্তপাড়া বাজারে গণসংযোগ চলাকালে নৌকার কর্মীরা তাকে বাধা দেয়। ওই সময় তাকে মারধরও করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা ফের তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম হাতে আঘাত করে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। পেছন থেকে হামলা করায় আজাদ কাউকে চিনতে পারেননি।
নৌকার প্রার্থী এটিএম কামাল উদ্দিন বলেন, আজাদকে কে বা কারা মারধর করেছে তা আমার জানা নেই। আমার কোনো কর্মী এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। ভোটের মাঠে আমাকে হেয় করতে আজাদ মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দত্তপাড়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। প্রার্থী নিজেও আমাকে কিছু বলেননি। নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষার্থে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছেন। হামলার শিকার প্রার্থী তাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নসহ ১৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে।