ডিসি অফিসে রাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক নিয়ে যা বললেন আইভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:১২:০২ | অনলাইন সংস্করণ
সিটি নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঠিক জানি না উনারা কী বিষয়ে আলাপ করেছেন।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ফতুল্লার দেওভোগে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইভী।
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, তৈমুর আলম খন্দকার স্পষ্ট করে বলেছেন— আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন, আপনি কী মনে করেন। জবাবে আইভী বলেন, আমি ঠিক জানি না উনারা কী আলাপ করেছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা সব ওয়ার্ডে গেছেন। তারা দেখেছেন ভোটারদের কাছে আমার অবস্থান কী। আমার নেতৃবৃন্দ কখনও আমার বিজয় নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন না। উনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আইভী বিজয়ী হবে।
আমার মনে হয় না যে, কেন্দ্রের নেতারা এখানে কাউকে প্রভাবিত করছেন। উনারা হয়তো অন্য কোনো কারণে এখানে পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন। অবজার্ভ করছেন। এখানে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, অথবা নিজ দলে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেসব বিষয়ে দেখতে হয়তো উনারা এসেছিলেন। ভোটারদের মধ্যে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সেটি নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ডিসি অফিসে আসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে সেখানে আসেন পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তাও। হঠাৎ অনির্ধারিত এ আগমনের সংবাদ পৌঁছে যায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে নিচে নেমে আসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম।
সেখানে জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, এখানে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। আমরা আজকে এখানে কোনো গোপন বৈঠক করিনি। প্রধান ফটক দিয়েই ঢুকেছি এবং প্রধান ফটক দিয়েই বের হচ্ছি। ফলে এখানে লুকোচুরির কোনো বিষয় নেই। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচনটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দ উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা একটি দল করি, দলের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে আছি। আমরা তো আসতেই পারি জেলা প্রশাসকের কাছে আলাপ করতে। যেন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। কোনোভাবেই যেন নারায়ণগঞ্জের শান্তি ভঙ্গ না হয়। এ ব্যাপারে তো আমরা আবেদন রাখতেই পারি।
নানক বলেন, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য যে কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেই কেন্দ্রগুলোতে যদি ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তা হলে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডিসি অফিসে রাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক নিয়ে যা বললেন আইভী
সিটি নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঠিক জানি না উনারা কী বিষয়ে আলাপ করেছেন।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ফতুল্লার দেওভোগে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইভী।
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, তৈমুর আলম খন্দকার স্পষ্ট করে বলেছেন— আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন, আপনি কী মনে করেন। জবাবে আইভী বলেন, আমি ঠিক জানি না উনারা কী আলাপ করেছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা সব ওয়ার্ডে গেছেন। তারা দেখেছেন ভোটারদের কাছে আমার অবস্থান কী। আমার নেতৃবৃন্দ কখনও আমার বিজয় নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন না। উনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আইভী বিজয়ী হবে।
আমার মনে হয় না যে, কেন্দ্রের নেতারা এখানে কাউকে প্রভাবিত করছেন। উনারা হয়তো অন্য কোনো কারণে এখানে পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন। অবজার্ভ করছেন। এখানে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, অথবা নিজ দলে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেসব বিষয়ে দেখতে হয়তো উনারা এসেছিলেন। ভোটারদের মধ্যে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সেটি নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ডিসি অফিসে আসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে সেখানে আসেন পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তাও। হঠাৎ অনির্ধারিত এ আগমনের সংবাদ পৌঁছে যায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে নিচে নেমে আসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম।
সেখানে জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, এখানে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। আমরা আজকে এখানে কোনো গোপন বৈঠক করিনি। প্রধান ফটক দিয়েই ঢুকেছি এবং প্রধান ফটক দিয়েই বের হচ্ছি। ফলে এখানে লুকোচুরির কোনো বিষয় নেই। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচনটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দ উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা একটি দল করি, দলের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে আছি। আমরা তো আসতেই পারি জেলা প্রশাসকের কাছে আলাপ করতে। যেন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। কোনোভাবেই যেন নারায়ণগঞ্জের শান্তি ভঙ্গ না হয়। এ ব্যাপারে তো আমরা আবেদন রাখতেই পারি।
নানক বলেন, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য যে কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেই কেন্দ্রগুলোতে যদি ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তা হলে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া হবে।