দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধের অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫১:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দুইজনের স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
দুই প্রার্থীর অভিযোগ- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া কোনো নোটিশ ছাড়াই স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে শনিবার থেকে স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- শিবালয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মোহসীন রাজু।
মোহসীন রাজু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নীতিমালা মেনে স্পিডবোটের ব্যবসা করে আসছি। এ ব্যবসা থেকে উপার্জিত আয় দিয়েই আমার সংসার চলে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কোনো নোটিশ ছাড়াই শনিবার থেকে স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে।
আবদুস সালাম বলেন, ভোটারদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে দলীয় নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিয়ে আসছিলেন। বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও নির্বাচনি কৌশল হিসেবে এখন মালিক সমিতির লোকজন স্পিডবোট বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্পিডবোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নজরুল ইসলাম বলেন, মালিক সমিতির নির্দেশে ওই দুই প্রার্থীর স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ সৃষ্টির জন্য নয়, স্পিডবোট দুটির বৈধ কাগজপত্র নেই, এ কারণে সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুটি স্পিডবোট বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও আরিচা স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম খান বলেন, স্পিডবোট বন্ধের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে বৈধ কাগজপত্র থাকলে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করতে কোনো সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।
আরিচা-কাজিরহাট রুটে স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা শাখার উপ-পরিচালক শাহ আলম বলেন, দুটি স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে তার কাছে কোনো অভিযোগ দাখিল করেননি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধের অভিযোগ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দুইজনের স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
দুই প্রার্থীর অভিযোগ- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া কোনো নোটিশ ছাড়াই স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে শনিবার থেকে স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- শিবালয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মোহসীন রাজু।
মোহসীন রাজু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নীতিমালা মেনে স্পিডবোটের ব্যবসা করে আসছি। এ ব্যবসা থেকে উপার্জিত আয় দিয়েই আমার সংসার চলে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কোনো নোটিশ ছাড়াই শনিবার থেকে স্পিডবোট ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে।
আবদুস সালাম বলেন, ভোটারদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে দলীয় নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিয়ে আসছিলেন। বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও নির্বাচনি কৌশল হিসেবে এখন মালিক সমিতির লোকজন স্পিডবোট বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্পিডবোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নজরুল ইসলাম বলেন, মালিক সমিতির নির্দেশে ওই দুই প্রার্থীর স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ সৃষ্টির জন্য নয়, স্পিডবোট দুটির বৈধ কাগজপত্র নেই, এ কারণে সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুটি স্পিডবোট বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও আরিচা স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম খান বলেন, স্পিডবোট বন্ধের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে বৈধ কাগজপত্র থাকলে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করতে কোনো সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।
আরিচা-কাজিরহাট রুটে স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা শাখার উপ-পরিচালক শাহ আলম বলেন, দুটি স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে তার কাছে কোনো অভিযোগ দাখিল করেননি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।