নীলফামারীর ডিমলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী (১১) গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। বাবা ও মা এক আত্মীয়ের জানাজায় গেলে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে শিশুকে গণধর্ষণ করে দুই যুবক।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভোরে দুই যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো- ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছ ভেষশীপাড়ার সুজন ইসলাম (১৫) ও আলী নুর ওরফে বুলু বাদশা (১৪)।

ধর্ষণের শিকার শিশুকে বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছ ভেষশীপাড়ায় সোমবার দুপুরের দিকে শিশুটির বাবা ও মা তাকে বাড়িতে রেখে এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে যান। এ সময় শিশুটি বাড়িতে একাই ছিল। মোশাররফ হোসেনের ছেলে সুজন ও আমিনুর রহমানের ছেলে আলী নুর ওরফে বুলু বাদশা ওই বাড়িতে ঢুকে শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

নির্যাতিত শিশুর মা জানান, আত্মীয়ের দাফন শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে তিনি মেয়েকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তার কাছ থেকে ঘটনা জেনে গ্রামের লোকজনের সহায়তায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই শিশুটিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ভোরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিমলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় বলেন, আসামিদের আদালতে তোলা হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।