জরাজীর্ণ টিনের ঘরে চলছে পাঠদান
ফারুক হোসেন, মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:০০:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা সংকট নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টিতে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক ও ভবন। আর শিক্ষার্থীরা যেখানে ক্লাস করছে, সেটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর। আর সেই ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি। ফলে সঠিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র বিদ্যাপীঠ নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই টিনের ঘর দিয়ে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম। এখনো ওই ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ঘরগুলো পরিত্যক্ত হওয়ায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন না থাকায় পূর্বের টিনের ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত কলাকান্দা ইউনিয়নের একমাত্র এ উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। শিক্ষার্থী অনুযায়ী পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক সংকটের কারণে পিছিয়ে পড়ে নিয়মিত পাঠদান থেকে। এছাড়া বিজ্ঞানাগারের পরীক্ষণ যন্ত্রাদির অভাবে সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যবহারিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবক ফকরুল ইসলাম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হচ্ছে। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাবে।
নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ভবন সংকটের কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ব্যাহত হচ্ছে এবং ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান, নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন সংকট রয়েছে বলে জেনেছি। তবে সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জরাজীর্ণ টিনের ঘরে চলছে পাঠদান
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা সংকট নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টিতে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক ও ভবন। আর শিক্ষার্থীরা যেখানে ক্লাস করছে, সেটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর। আর সেই ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি। ফলে সঠিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র বিদ্যাপীঠ নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই টিনের ঘর দিয়ে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম। এখনো ওই ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ঘরগুলো পরিত্যক্ত হওয়ায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন না থাকায় পূর্বের টিনের ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত কলাকান্দা ইউনিয়নের একমাত্র এ উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। শিক্ষার্থী অনুযায়ী পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক সংকটের কারণে পিছিয়ে পড়ে নিয়মিত পাঠদান থেকে। এছাড়া বিজ্ঞানাগারের পরীক্ষণ যন্ত্রাদির অভাবে সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যবহারিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবক ফকরুল ইসলাম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হচ্ছে। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাবে।
নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ভবন সংকটের কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ব্যাহত হচ্ছে এবং ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান, নীলনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন সংকট রয়েছে বলে জেনেছি। তবে সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।