যেন চাষের জমি
রেজাউল ইসলাম সেলিম, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:০৭:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে চাঁন্দইল মোড়-খড়িকাডাংগা কাঁচা সড়কটি পাকা করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী। বারবার দাবি জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণে এবার ওই সড়কে ধানের চারা রোপণ করে সড়ক পাকা করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ধানের চারা রোপণের সেই দৃশ্য ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
এলাকাবাসী জানান, এই এলাকার কয়েকটি গ্রামের জনবসতি প্রায় পাঁচ হাজার। এখানে রয়েছে বাজারসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আছে মৎস্য চাষের জন্য ছোটবড় অনেক ঘের। শুধু যোগাযোগ ব্যস্থার করণেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন এলাকার মানুষ। এছাড়া এ এলাকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপজেলার নিয়ামতপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়ে। যাতায়াতে তারা দুর্ভোগে পড়েন।
সরেজমিন দেখা যায়, কয়েক দিন আগের বৃষ্টিতে সড়কটিতে পানি জমে কর্দমক্ত হয়ে যোগাযোগের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একটি ভ্যানগাড়ির চালক সড়কটি পার হতে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন সড়কের কাদামাটির সঙ্গে। সড়কটি দেখে মনে হচ্ছে যেন ধান চাষের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
সোগুনা উচ্চ বিদ্যারয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিমাংশু, মনিস ও সেবা বর্মন জানায়, বিদ্যালয় থেকে তাদের গ্রামের দূরত্ব হাফ কিলোমিটার। বৃষ্টি হলে তাদের এভাবেই এ পথ দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। মাঝে মধ্যে পা পিছলে কাদায় পড়লে বিদ্যালয়ে যাওয়া হয় না তাদের। আর বর্ষাকালে সড়কটি খালে পরিণত হয়। তাই তার দ্রুত এ সড়কটি পাকা করার দাবি জানায়।
ওই গ্রামের গৃহিণী সেলিনা জানান, শুধু এই কাঁচা সড়কের কারণেই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে দিতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এমনকি পাত্রপক্ষের লোকজন সবকিছু পছন্দ করলেও সড়কের কারণে তারা আর আসতে চায় না।
ওই গ্রমের কৃষক জিল্লুর ও মোকসেদুল জানান, তাদের গ্রাম থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব অনেক। তাই পার্শ্ববর্তী গাংগোর, কায়দাকোপা ও পার্শ্ববর্তী নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী হাটে তাদের উৎপাদিত ফসল ধান, গম, ডাল তুলে থাকেন কিন্তু কাঁচা সড়কে বৃষ্টি হলে ফসল নিয়ে যেতে সীমাহীন কষ্ট হয় তাদের।
তারা বলেন, ইউপি চেয়াম্যান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে একাধিকবার বলেও এখন পর্যন্ত সড়কটি পাকা হয়নি।
কাঁচা সড়কটি পাকাকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ামতপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, কাঁচা সড়কটি পাকাকরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যেন চাষের জমি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে চাঁন্দইল মোড়-খড়িকাডাংগা কাঁচা সড়কটি পাকা করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী। বারবার দাবি জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণে এবার ওই সড়কে ধানের চারা রোপণ করে সড়ক পাকা করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ধানের চারা রোপণের সেই দৃশ্য ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
এলাকাবাসী জানান, এই এলাকার কয়েকটি গ্রামের জনবসতি প্রায় পাঁচ হাজার। এখানে রয়েছে বাজারসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আছে মৎস্য চাষের জন্য ছোটবড় অনেক ঘের। শুধু যোগাযোগ ব্যস্থার করণেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন এলাকার মানুষ। এছাড়া এ এলাকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপজেলার নিয়ামতপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়ে। যাতায়াতে তারা দুর্ভোগে পড়েন।
সরেজমিন দেখা যায়, কয়েক দিন আগের বৃষ্টিতে সড়কটিতে পানি জমে কর্দমক্ত হয়ে যোগাযোগের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একটি ভ্যানগাড়ির চালক সড়কটি পার হতে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন সড়কের কাদামাটির সঙ্গে। সড়কটি দেখে মনে হচ্ছে যেন ধান চাষের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
সোগুনা উচ্চ বিদ্যারয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিমাংশু, মনিস ও সেবা বর্মন জানায়, বিদ্যালয় থেকে তাদের গ্রামের দূরত্ব হাফ কিলোমিটার। বৃষ্টি হলে তাদের এভাবেই এ পথ দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। মাঝে মধ্যে পা পিছলে কাদায় পড়লে বিদ্যালয়ে যাওয়া হয় না তাদের। আর বর্ষাকালে সড়কটি খালে পরিণত হয়। তাই তার দ্রুত এ সড়কটি পাকা করার দাবি জানায়।
ওই গ্রামের গৃহিণী সেলিনা জানান, শুধু এই কাঁচা সড়কের কারণেই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে দিতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এমনকি পাত্রপক্ষের লোকজন সবকিছু পছন্দ করলেও সড়কের কারণে তারা আর আসতে চায় না।
ওই গ্রমের কৃষক জিল্লুর ও মোকসেদুল জানান, তাদের গ্রাম থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব অনেক। তাই পার্শ্ববর্তী গাংগোর, কায়দাকোপা ও পার্শ্ববর্তী নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী হাটে তাদের উৎপাদিত ফসল ধান, গম, ডাল তুলে থাকেন কিন্তু কাঁচা সড়কে বৃষ্টি হলে ফসল নিয়ে যেতে সীমাহীন কষ্ট হয় তাদের।
তারা বলেন, ইউপি চেয়াম্যান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে একাধিকবার বলেও এখন পর্যন্ত সড়কটি পাকা হয়নি।
কাঁচা সড়কটি পাকাকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ামতপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, কাঁচা সড়কটি পাকাকরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।