ব্লগার অনন্ত হত্যা: আসামি পরীক্ষা ২৬ জানুয়ারি
সিলেট ব্যুরো
২০ জানুয়ারি ২০২২, ২২:১০:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনজন অবশেষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া আসামি পরীক্ষার জন্যে তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সিলেট সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক আরমান আলীর ও গত বুধবার পরিদর্শক (আইটি ফরেনসিক) মাসুদ সিদ্দিকী ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা সাক্ষ্য দেন। এর আগে সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় দফায় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছিল।
বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে ২৪ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। অন্যান্য সাক্ষীদের মধ্যে ২ জন দেশের বাইরে রয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব আগামী ২৬ জানুয়ারি আসামি পরীক্ষার জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।
আদালতে বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ও অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম। নিহতের বড়ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগ দেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমদ।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে ফারাবী ও আবুল খায়ের বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি মান্নান রাহী কারান্তরীণ অবস্থায় মারা গেছেন। অপর তিন আসামি প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন। ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ব্লগার অনন্ত হত্যা: আসামি পরীক্ষা ২৬ জানুয়ারি
ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনজন অবশেষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া আসামি পরীক্ষার জন্যে তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সিলেট সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক আরমান আলীর ও গত বুধবার পরিদর্শক (আইটি ফরেনসিক) মাসুদ সিদ্দিকী ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা সাক্ষ্য দেন। এর আগে সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় দফায় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছিল।
বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে ২৪ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। অন্যান্য সাক্ষীদের মধ্যে ২ জন দেশের বাইরে রয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব আগামী ২৬ জানুয়ারি আসামি পরীক্ষার জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।
আদালতে বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ও অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম। নিহতের বড়ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগ দেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমদ।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে ফারাবী ও আবুল খায়ের বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি মান্নান রাহী কারান্তরীণ অবস্থায় মারা গেছেন। অপর তিন আসামি প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন। ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।