পরাজিত প্রার্থীর ভাতিজার কাণ্ড
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৪৬:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পরাজিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাতিজার বিরুদ্ধে হামলা, মারধর ও হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অভিযুক্ত মিজানুর রহমান দিপু ও মিনহাজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈম ফেরদৌস ও তার বাবা আজিজ সিকদারের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান আনিসের ভাতিজা মিজানুর রহমান দিপু ও মিনহাজুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাসিক নির্বাচনে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন আনিসুর রহমান আনিস। তিনি নির্বাচনে বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলের কাছে পরাজিত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচাকে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে মিজানুর রহমান দিপু সোনামিয়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী জান্নাতুল নাঈম ফেরদৌসকে মোবাইল ফোনে হত্যা ও লাশ গুমের হুমকি দেয়।
এরপর দিপু ও তার ভাই মিনহাজের নেতৃত্বে তানজিম কবির সজিব, মাজেদুল ইসলাম, জব্বারসহ ২০-২৫ জন নাঈম ফেরদৌসের ওষুধের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় জান্নাতুল নাঈম ফেরদৌস ও তার বাবা আজিজ সিকদার আহত হন। এ সময় তারা দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুরের কারণে তাদের ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন অভিযোগপত্রে।
তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিলে এলে মিজানুররা চলে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন এলাকাবাসী।
হামলা ও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে মিজানুর রহমান দিপু বলেন, আমি ওই সময় ঘটনাস্থলেই যাইনি। আমার ফুফাতো ভাই মাসুমের সঙ্গে দোকান মালিক ও তার ছেলের কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় তারা আমার ফুফাতো ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান আনিসের মোবাইল ফোনে কল করলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান (পিপিএম বার) শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পরাজিত প্রার্থীর ভাতিজার কাণ্ড
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পরাজিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাতিজার বিরুদ্ধে হামলা, মারধর ও হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অভিযুক্ত মিজানুর রহমান দিপু ও মিনহাজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈম ফেরদৌস ও তার বাবা আজিজ সিকদারের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান আনিসের ভাতিজা মিজানুর রহমান দিপু ও মিনহাজুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাসিক নির্বাচনে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন আনিসুর রহমান আনিস। তিনি নির্বাচনে বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলের কাছে পরাজিত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচাকে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে মিজানুর রহমান দিপু সোনামিয়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী জান্নাতুল নাঈম ফেরদৌসকে মোবাইল ফোনে হত্যা ও লাশ গুমের হুমকি দেয়।
এরপর দিপু ও তার ভাই মিনহাজের নেতৃত্বে তানজিম কবির সজিব, মাজেদুল ইসলাম, জব্বারসহ ২০-২৫ জন নাঈম ফেরদৌসের ওষুধের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় জান্নাতুল নাঈম ফেরদৌস ও তার বাবা আজিজ সিকদার আহত হন। এ সময় তারা দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুরের কারণে তাদের ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন অভিযোগপত্রে।
তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিলে এলে মিজানুররা চলে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন এলাকাবাসী।
হামলা ও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে মিজানুর রহমান দিপু বলেন, আমি ওই সময় ঘটনাস্থলেই যাইনি। আমার ফুফাতো ভাই মাসুমের সঙ্গে দোকান মালিক ও তার ছেলের কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় তারা আমার ফুফাতো ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান আনিসের মোবাইল ফোনে কল করলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান (পিপিএম বার) শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।