বিক্রি করা শিশুকন্যাকে ফিরে পেলেন বাবা-মা
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৪৮:১২ | অনলাইন সংস্করণ
স্বরূপকাঠির দুর্গাকাঠি গ্রামের পরিমল ও কাজল দম্পতি তাদের বিক্রি হওয়া ১৮ দিনের শিশুকন্যাকে কোলে ফিরে পেয়েছেন। স্বরূপকাঠি থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় বিক্রির মধ্যস্থতাকারী আরতী রানি সন্ধ্যার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
১৮ দিনের শিশুকন্যাকে ফিরে পেয়ে মা কাজল রানি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিশু বিক্রির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টাকা আত্মসাৎকারী বিজন হালদার ও তার সহযোগী রনজিত মণ্ডল গা ঢাকা দিয়েছে।
জানা গেছে, পরিমল ব্যাপারীর অভাবের সুযোগ নিয়ে বিজন হালদার ও তার সহযোগী রনজিত মণ্ডল তার ১৮ দিনের শিশুকন্যাকে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করে। পরিমল ব্যাপারীর অভিযোগ- এক লাখ ৬৫ হাজার টাকায় তার সন্তান বিক্রি করা হলেও তাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকিটা ওই প্রতারকরা আত্মসাৎ করে।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে শিশু বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তৎপর হয়। এ ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন শিশু বিক্রির মধ্যস্থতাকারী ও ক্রেতা দম্পতির আত্মীয় আতা গ্রামের সুকুমার রায়ের স্ত্রী আরতী রানি ওরফে সন্ধ্যা রায়। ওই রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয় নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, উদ্ধার করা শিশুকে তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। শিশু বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিক্রি করা শিশুকন্যাকে ফিরে পেলেন বাবা-মা
স্বরূপকাঠির দুর্গাকাঠি গ্রামের পরিমল ও কাজল দম্পতি তাদের বিক্রি হওয়া ১৮ দিনের শিশুকন্যাকে কোলে ফিরে পেয়েছেন। স্বরূপকাঠি থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় বিক্রির মধ্যস্থতাকারী আরতী রানি সন্ধ্যার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
১৮ দিনের শিশুকন্যাকে ফিরে পেয়ে মা কাজল রানি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিশু বিক্রির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টাকা আত্মসাৎকারী বিজন হালদার ও তার সহযোগী রনজিত মণ্ডল গা ঢাকা দিয়েছে।
জানা গেছে, পরিমল ব্যাপারীর অভাবের সুযোগ নিয়ে বিজন হালদার ও তার সহযোগী রনজিত মণ্ডল তার ১৮ দিনের শিশুকন্যাকে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করে। পরিমল ব্যাপারীর অভিযোগ- এক লাখ ৬৫ হাজার টাকায় তার সন্তান বিক্রি করা হলেও তাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকিটা ওই প্রতারকরা আত্মসাৎ করে।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে শিশু বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তৎপর হয়। এ ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন শিশু বিক্রির মধ্যস্থতাকারী ও ক্রেতা দম্পতির আত্মীয় আতা গ্রামের সুকুমার রায়ের স্ত্রী আরতী রানি ওরফে সন্ধ্যা রায়। ওই রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয় নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, উদ্ধার করা শিশুকে তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। শিশু বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।