মসজিদে সিজদারত মুসল্লির মৃত্যু
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মসজিদে সিজদারত অবস্থায় আনজের আলী (৭০) নামের এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার পদ্মার চরের কালিদাসখালী জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়া অবস্থায় তিনি মারা যান।
আনজের আলী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বালুঘন্ড গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলী ব্যাপারির ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনজের আলীর স্ত্রীর বড় ভাই আবু বাক্কার আলী ব্যাপারি অসুস্থতার কারণে গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এই মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী পদ্মার চরে যান আনজের আলী। বিকালে ওই আত্মীয়কে দাফন করা হয়। পরে আনজের আলী ওই আত্মীয়র বাড়িতে থেকে যান।
এশার নামাজের সময় হলে তিনি মসজিদে যান। এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ চলাকালীন সময় হঠাৎ তিনি মৃত্যুর কলে ঢলে পড়েন।
এশার নামাজের দায়িত্বে থাকা ইমাম আবদুল কুদ্দুস বলেন, আনজের আলী এশার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে আসেন। এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের তৃতীয় রাকাতে তিনি আর উঠে দাঁড়াননি। নামাজের সালাম শেষে দেখি তিনি মারা গেছেন।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, আনজের আলী প্রায় ২৫ বছর আগে ওই পদ্মার চরে বসবাস করতেন।
নদী ভাঙনের কারণে তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলার বালুঘন্ড গ্রামে চলে যান। আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দাফন কাজে আসেন। কিন্তু তিনিই পরে নামাজরত অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মসজিদে সিজদারত মুসল্লির মৃত্যু
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মসজিদে সিজদারত অবস্থায় আনজের আলী (৭০) নামের এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার পদ্মার চরের কালিদাসখালী জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়া অবস্থায় তিনি মারা যান।
আনজের আলী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বালুঘন্ড গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলী ব্যাপারির ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনজের আলীর স্ত্রীর বড় ভাই আবু বাক্কার আলী ব্যাপারি অসুস্থতার কারণে গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এই মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী পদ্মার চরে যান আনজের আলী। বিকালে ওই আত্মীয়কে দাফন করা হয়। পরে আনজের আলী ওই আত্মীয়র বাড়িতে থেকে যান।
এশার নামাজের সময় হলে তিনি মসজিদে যান। এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ চলাকালীন সময় হঠাৎ তিনি মৃত্যুর কলে ঢলে পড়েন।
এশার নামাজের দায়িত্বে থাকা ইমাম আবদুল কুদ্দুস বলেন, আনজের আলী এশার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে আসেন। এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের তৃতীয় রাকাতে তিনি আর উঠে দাঁড়াননি। নামাজের সালাম শেষে দেখি তিনি মারা গেছেন।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, আনজের আলী প্রায় ২৫ বছর আগে ওই পদ্মার চরে বসবাস করতেন।
নদী ভাঙনের কারণে তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলার বালুঘন্ড গ্রামে চলে যান। আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দাফন কাজে আসেন। কিন্তু তিনিই পরে নামাজরত অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।