ফুলকপির হাসি কৃষকদের চোখে-মুখে
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৪০:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষিপ্রধান মীরসরাই উপজেলা সবজি চাষে চট্টগ্রামের শীর্ষ এলাকা। এবার আগাম চাষ ও চলমান ফলনে ও ফুলকপিতে কৃষকরা বেজায় লাভবান। উত্তরের কৃষকরা এবার শুরুর বৃষ্টিতে মার খাওয়ায় মীরসরাইয়ের কৃষকদের সাপেবর হয়ে গেছে।
মৌসুমের শুরুতেই কৃষকরা এবার ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে ফুলকপি বিক্রি করেছেন। পৌষ মাসের এই দিনে ও প্রতিটি কপি ২০ থেকে ২৫ টাকা পাইকারিই বিক্রি করছেন। অথচ গেল বছর ও এই মৌসুমে ১০-১৫ টাকা বিক্রি করতে হয়েছে প্রতিটি কপি।
শনিবার আমবাড়িয়া গ্রামের ফুলকপি চাষি জাহাঙ্গীর ( ৪২) বলেন, এবার ২০ গণ্ডা জমিতে শুরুতেই পুঁজির ৫০ হাজার টাকা উঠে গেছে। এখন আরও লাখ টাকা লাভেই আছি। খরচ গিয়ে অন্তত এই মাসে ৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হবে। ছোট বড় সব চাষিই কমবেশি লাভবান এবার।
নিজের ফুলকপি ক্ষেতে ৫ শ্রমিক নিয়ে ব্যস্ত খৈয়াছরা গ্রামের কৃষক মো. মুছা (৫২)। ফলন বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিমুখে মুখে তিনি বললেন, গেল বছর ও আগাম চাষ করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুইবার রোপণ করতে হয়েছে চারা। পুরো জমিতে ৭০ হাজার টাকা লস হয়েছে। এবার লাভ হয়েছে। গতবারের ক্ষতি ও পুষিয়ে গেছে যেন। ফেনী কুমিল্লার সর্বত্র শুরুতেই ফলন নষ্ট হওয়ায় এখানকার সবজির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ওদিককার পাইকারদেরও।
কৃষক মুছা মিয়া আরও বলেন, একটি হিমাগার থাকলে কৃষিপণ্য সংরক্ষণে অনেক সুবিধা পাওয়া যেত।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, এবার উপজেলায় প্রায় ৬৫ হেক্টর ফুলকপি ও ৬০ হেক্টর বাঁধাকপি চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া শিম, টমেটো, আলু, লাউ ও অনেক চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকরা লাভবান বলে কৃষি বিভাগ আনন্দিত বলেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ফুলকপির হাসি কৃষকদের চোখে-মুখে
কৃষিপ্রধান মীরসরাই উপজেলা সবজি চাষে চট্টগ্রামের শীর্ষ এলাকা। এবার আগাম চাষ ও চলমান ফলনে ও ফুলকপিতে কৃষকরা বেজায় লাভবান। উত্তরের কৃষকরা এবার শুরুর বৃষ্টিতে মার খাওয়ায় মীরসরাইয়ের কৃষকদের সাপেবর হয়ে গেছে।
মৌসুমের শুরুতেই কৃষকরা এবার ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে ফুলকপি বিক্রি করেছেন। পৌষ মাসের এই দিনে ও প্রতিটি কপি ২০ থেকে ২৫ টাকা পাইকারিই বিক্রি করছেন। অথচ গেল বছর ও এই মৌসুমে ১০-১৫ টাকা বিক্রি করতে হয়েছে প্রতিটি কপি।
শনিবার আমবাড়িয়া গ্রামের ফুলকপি চাষি জাহাঙ্গীর ( ৪২) বলেন, এবার ২০ গণ্ডা জমিতে শুরুতেই পুঁজির ৫০ হাজার টাকা উঠে গেছে। এখন আরও লাখ টাকা লাভেই আছি। খরচ গিয়ে অন্তত এই মাসে ৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হবে। ছোট বড় সব চাষিই কমবেশি লাভবান এবার।
নিজের ফুলকপি ক্ষেতে ৫ শ্রমিক নিয়ে ব্যস্ত খৈয়াছরা গ্রামের কৃষক মো. মুছা (৫২)। ফলন বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিমুখে মুখে তিনি বললেন, গেল বছর ও আগাম চাষ করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুইবার রোপণ করতে হয়েছে চারা। পুরো জমিতে ৭০ হাজার টাকা লস হয়েছে। এবার লাভ হয়েছে। গতবারের ক্ষতি ও পুষিয়ে গেছে যেন। ফেনী কুমিল্লার সর্বত্র শুরুতেই ফলন নষ্ট হওয়ায় এখানকার সবজির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ওদিককার পাইকারদেরও।
কৃষক মুছা মিয়া আরও বলেন, একটি হিমাগার থাকলে কৃষিপণ্য সংরক্ষণে অনেক সুবিধা পাওয়া যেত।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, এবার উপজেলায় প্রায় ৬৫ হেক্টর ফুলকপি ও ৬০ হেক্টর বাঁধাকপি চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া শিম, টমেটো, আলু, লাউ ও অনেক চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকরা লাভবান বলে কৃষি বিভাগ আনন্দিত বলেন তিনি।