ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী
২৩ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৫৩:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
‘উন্নয়নের রাস্তায়-গাছ কাটুন সস্তায়, ঝাউবনে আর গাছ নাই-আনন্দের সীমা নাই, আর চাই না ছায়াঘেরা গাছ-পিচের রাস্তায় হাঁটব ১২ মাস, বৃক্ষহীন এই শহরে-অক্সিজেন খুঁজব সিলিন্ডারে’।
ব্যতিক্রমী এ রকম স্লোগানে গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকা উন্নয়নের নামে ঝাউতলার গাছ কাটার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সড়কে অবস্থান করে নাচ-গান ও মিষ্টি বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা।
স্লোগানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বক্তব্যও ছিল ব্যতিক্রমী। গাছ কাটার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে তারা ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জেলা শহরের একাংশে ফোর লেন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই সড়কের সৌন্দর্য বর্ধন ও ল্যাম্প পোস্টের আলো ছড়িয়ে দিতে সড়কের মাঝে লাগোয়া শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তা হলে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের নামে সব বনায়ন উজাড় করি। সব গাছ কেটে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে চলমান শীতের কষ্ট থেকে গরিব জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করি!
তারা আরও বলেন, লাইট পোস্টের নিচে বসে কত মানুষ বিদ্বান হয়েছেন, কিন্তু গাছতলায় কেউ বিদ্বান হতে পারেননি। তাই যত পারেন উন্নয়নের নামে গাছ কাটেন। পৌর কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন ও খামখেয়ালিপনায় শহরের ঐতিহ্যবাহী ঝাউবন আজ থেকে কাটাবন হয়ে গেল। এভাবে উন্নয়নের নামে আর কত বনায়ন ধ্বংস করা হবে তা জানতে চাই সমাজের কাছে। আমরা কি অভিভাবকহীন শহরের বসবাস করছি?
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- পবিপ্রবির শিক্ষার্থী শোভন, রাজীব, হৃদয় সাহা, নয়ন এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী মানিক ইসলাম, সুকান্ত হৃদয়, ফাতিমা এশা, জান্নাতুল প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দীন আরজু বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক ছিলেন সভাপতি। ওই সভায় সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়। ওই সভায় পৌরসভার উন্নয়নের জন্য ৬৩টি গাছ কাটার অনুমোদন হয়। তাই শহর উন্নয়নের স্বার্থে গাছ কাটা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
‘উন্নয়নের রাস্তায়-গাছ কাটুন সস্তায়, ঝাউবনে আর গাছ নাই-আনন্দের সীমা নাই, আর চাই না ছায়াঘেরা গাছ-পিচের রাস্তায় হাঁটব ১২ মাস, বৃক্ষহীন এই শহরে-অক্সিজেন খুঁজব সিলিন্ডারে’।
ব্যতিক্রমী এ রকম স্লোগানে গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকা উন্নয়নের নামে ঝাউতলার গাছ কাটার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সড়কে অবস্থান করে নাচ-গান ও মিষ্টি বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা।
স্লোগানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বক্তব্যও ছিল ব্যতিক্রমী। গাছ কাটার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে তারা ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জেলা শহরের একাংশে ফোর লেন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই সড়কের সৌন্দর্য বর্ধন ও ল্যাম্প পোস্টের আলো ছড়িয়ে দিতে সড়কের মাঝে লাগোয়া শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তা হলে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের নামে সব বনায়ন উজাড় করি। সব গাছ কেটে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে চলমান শীতের কষ্ট থেকে গরিব জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করি!
তারা আরও বলেন, লাইট পোস্টের নিচে বসে কত মানুষ বিদ্বান হয়েছেন, কিন্তু গাছতলায় কেউ বিদ্বান হতে পারেননি। তাই যত পারেন উন্নয়নের নামে গাছ কাটেন। পৌর কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন ও খামখেয়ালিপনায় শহরের ঐতিহ্যবাহী ঝাউবন আজ থেকে কাটাবন হয়ে গেল। এভাবে উন্নয়নের নামে আর কত বনায়ন ধ্বংস করা হবে তা জানতে চাই সমাজের কাছে। আমরা কি অভিভাবকহীন শহরের বসবাস করছি?
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- পবিপ্রবির শিক্ষার্থী শোভন, রাজীব, হৃদয় সাহা, নয়ন এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী মানিক ইসলাম, সুকান্ত হৃদয়, ফাতিমা এশা, জান্নাতুল প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দীন আরজু বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক ছিলেন সভাপতি। ওই সভায় সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়। ওই সভায় পৌরসভার উন্নয়নের জন্য ৬৩টি গাছ কাটার অনুমোদন হয়। তাই শহর উন্নয়নের স্বার্থে গাছ কাটা হয়েছে।