ভুয়া কাবিনে শারীরিক সম্পর্ক, এসআইয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:১৯:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
বিধবা নারীর সঙ্গে ভুয়া কাবিনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযাগের মামলায় পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার রোববার এ পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের এক নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ডায়েরি করেন। ওই ডায়েরির তদন্তে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা বলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।
বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন।
গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আর কোনো নারী যেন সেবা নিতে গিয়ে নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার না হয় এজন্য তিনি তার শাস্তি দাবি করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভুয়া কাবিনে শারীরিক সম্পর্ক, এসআইয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
বিধবা নারীর সঙ্গে ভুয়া কাবিনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযাগের মামলায় পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার রোববার এ পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের এক নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ডায়েরি করেন। ওই ডায়েরির তদন্তে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা বলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।
বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন।
গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আর কোনো নারী যেন সেবা নিতে গিয়ে নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার না হয় এজন্য তিনি তার শাস্তি দাবি করেন।