শাবিতে ‘শিক্ষককে’ ফেনসিডিল দিতে যাওয়ার সময় ২ গার্ড আটক
সিলেট ব্যুরো
২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০০:৫৯:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ফেনসিডিলসহ জাহিদুর রহমান নামে এক যুবক আটক হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে ফেনসিডিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর জাহিদ নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পাশের গেস্ট হাউসের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি যমুনা স্টার সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেডের আইডি কার্ড বহন করছেন।
আটক জাহিদ জানান, ওখানকার এক শিক্ষক (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার) আমাকে এক লোককে দেখিয়ে পাঠান, উনার কাছ থেকে ওই স্যারের জন্য একটি ওষুধ নিয়ে আসতে। ওই শিক্ষকের কথামতো আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছ থেকে অপর লোকের দেওয়া ওষুধ নিয়ে আসি। এটি ফেনসিডিল কিনা তা আমি জানতাম না। আমি এর বাইরে আর কিছু জানি না।
তখন শিক্ষার্থীদের জাহিদ জানান, গেস্ট হাউসে নিয়ে গেলে সে ওই শিক্ষককে দেখিয়ে দিবে। কথামতো গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা নিয়ে গেলে ওই শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তখন ‘ম’ দিয়ে নাম বললে শিক্ষার্থীরা কয়েকজন শিক্ষকের নাম বলেন। এরমধ্যে থেকে ‘মাজহারুল’ নামটি সে চিহ্নিত করে। পরে ছবি দেখে জাহিদ অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ জব্দ তালিকা করে জাহিদুর রহমান ও তার সহযোগী আরেক গার্ডকে আটক করে নিয়ে যায়।
জাহিদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে শাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি বরং ফোন নাম্বারটি বন্ধ করে দেন।
উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তায় থাকা সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ যুগান্তরকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক বোতল ফেনসিডিলসহ জাহিদুর রহমানসহ দুই গার্ডকে আটক করা হয়েছে। তারা উপাচার্যের বাসভবনের পাশের গেস্ট হাউসে কর্মরত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যার কাছে পাওয়া গেছে তার নামে মামলা হচ্ছে। উনি একজনের নাম বলছেন, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। বোতলটিও ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, এটি ফেনসিডিল কী-না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শাবিতে ‘শিক্ষককে’ ফেনসিডিল দিতে যাওয়ার সময় ২ গার্ড আটক
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ফেনসিডিলসহ জাহিদুর রহমান নামে এক যুবক আটক হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে ফেনসিডিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর জাহিদ নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পাশের গেস্ট হাউসের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি যমুনা স্টার সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেডের আইডি কার্ড বহন করছেন।
আটক জাহিদ জানান, ওখানকার এক শিক্ষক (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার) আমাকে এক লোককে দেখিয়ে পাঠান, উনার কাছ থেকে ওই স্যারের জন্য একটি ওষুধ নিয়ে আসতে। ওই শিক্ষকের কথামতো আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছ থেকে অপর লোকের দেওয়া ওষুধ নিয়ে আসি। এটি ফেনসিডিল কিনা তা আমি জানতাম না। আমি এর বাইরে আর কিছু জানি না।
তখন শিক্ষার্থীদের জাহিদ জানান, গেস্ট হাউসে নিয়ে গেলে সে ওই শিক্ষককে দেখিয়ে দিবে। কথামতো গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা নিয়ে গেলে ওই শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তখন ‘ম’ দিয়ে নাম বললে শিক্ষার্থীরা কয়েকজন শিক্ষকের নাম বলেন। এরমধ্যে থেকে ‘মাজহারুল’ নামটি সে চিহ্নিত করে। পরে ছবি দেখে জাহিদ অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ জব্দ তালিকা করে জাহিদুর রহমান ও তার সহযোগী আরেক গার্ডকে আটক করে নিয়ে যায়।
জাহিদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে শাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি বরং ফোন নাম্বারটি বন্ধ করে দেন।
উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তায় থাকা সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ যুগান্তরকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক বোতল ফেনসিডিলসহ জাহিদুর রহমানসহ দুই গার্ডকে আটক করা হয়েছে। তারা উপাচার্যের বাসভবনের পাশের গেস্ট হাউসে কর্মরত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যার কাছে পাওয়া গেছে তার নামে মামলা হচ্ছে। উনি একজনের নাম বলছেন, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। বোতলটিও ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, এটি ফেনসিডিল কী-না।