বিজয়ী প্রার্থীর স্থলে পরাজিত প্রার্থীর নামে গেজেট!
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০১:২৯:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে বেসরকারিভাবে টিটু মিয়াকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকারি গেজেটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এর পরিবর্তে সেখানে যিনি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন, তার নামে গেজেট হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন তার অনিচ্ছাকৃত ভুলে এমনটি হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপে ওই ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশিত হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলবরষ ইউপির ৭নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভোট গ্রহণ হয় স্থানীয় ভাটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে চারজন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ফুটবল প্রতীকে টিটু মিয়া ৬৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকে আবদুল মতিন পান ২৭৮ ভোট। অপর দুজন প্রার্থীর মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ইকবাল হোসেন ২৩৮ ভোট এবং মোরগ প্রতীকে শাহীন মিয়া পান ১৯৪ ভোট।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ধর্মপাশা শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রুবেল মিয়া। নির্বাচনের দিন ভোট গণনা শেষে প্রার্থীদের এজেন্টদের কাছে ফলাফলের তালিকা দেওয়া হয়। রাতে উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে কন্ট্রোল রুমে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রটির লিখিত ফলাফল জমা দেন। সেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভুল করে ফলাফল সিটে শাহীন মিয়ার নাম ও তার প্রতীক লিখে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। ওই তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়।
রুবেল মিয়া বলেন, তাড়াহুড়ো করে লিখতে গিয়ে ভুলবশত শাহীন মিয়ার নাম লিখে ফেলেছি। আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সেলবরষ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন বলেন, ওই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত টিটু মিয়াকে কীভাবে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে জন্য বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারের ভুলে এ রকম একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে নির্বাচিত ইউপি সদস্যকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছি; যাতে ভুল করে গেজেটভুক্ত ব্যক্তির নামটি বাদ দিয়ে বিজয়ী ইউপি সদস্যের নামটি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়।
তিনি বলেন, ওই প্রসেসিংয়ের আগে যদি শপথ গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়, তাহলেও ভুলক্রমে গেজেটেভুক্ত হওয়া ব্যক্তিকে শপথ করানো হবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিজয়ী প্রার্থীর স্থলে পরাজিত প্রার্থীর নামে গেজেট!
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে বেসরকারিভাবে টিটু মিয়াকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকারি গেজেটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এর পরিবর্তে সেখানে যিনি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন, তার নামে গেজেট হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন তার অনিচ্ছাকৃত ভুলে এমনটি হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপে ওই ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশিত হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলবরষ ইউপির ৭নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভোট গ্রহণ হয় স্থানীয় ভাটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে চারজন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ফুটবল প্রতীকে টিটু মিয়া ৬৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকে আবদুল মতিন পান ২৭৮ ভোট। অপর দুজন প্রার্থীর মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ইকবাল হোসেন ২৩৮ ভোট এবং মোরগ প্রতীকে শাহীন মিয়া পান ১৯৪ ভোট।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ধর্মপাশা শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রুবেল মিয়া। নির্বাচনের দিন ভোট গণনা শেষে প্রার্থীদের এজেন্টদের কাছে ফলাফলের তালিকা দেওয়া হয়। রাতে উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে কন্ট্রোল রুমে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রটির লিখিত ফলাফল জমা দেন। সেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভুল করে ফলাফল সিটে শাহীন মিয়ার নাম ও তার প্রতীক লিখে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। ওই তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়।
রুবেল মিয়া বলেন, তাড়াহুড়ো করে লিখতে গিয়ে ভুলবশত শাহীন মিয়ার নাম লিখে ফেলেছি। আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সেলবরষ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন বলেন, ওই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত টিটু মিয়াকে কীভাবে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে জন্য বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারের ভুলে এ রকম একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে নির্বাচিত ইউপি সদস্যকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছি; যাতে ভুল করে গেজেটভুক্ত ব্যক্তির নামটি বাদ দিয়ে বিজয়ী ইউপি সদস্যের নামটি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়।
তিনি বলেন, ওই প্রসেসিংয়ের আগে যদি শপথ গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়, তাহলেও ভুলক্রমে গেজেটেভুক্ত হওয়া ব্যক্তিকে শপথ করানো হবে না।