শিশু তাসফিয়া হত্যা মামলা ডিবিতে
jugantor
শিশু তাসফিয়া হত্যা মামলা ডিবিতে

  কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি  

১৯ এপ্রিল ২০২২, ২১:৫৩:৫৬  |  অনলাইন সংস্করণ

তাসপিয়া

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হাজীপুরে শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি নিহত তাসফিয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. রাজিবুল হাসান, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি প্রমুখ।

অন্যদিকে ঘটনার ৬ দিন পার হলেও মূল আসামিরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত তাসফিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের।

কান্নাজড়িত কন্ঠে পুলিশ সুপারকে আবু জাহের বলেন, আমরা চাই অপরাধীদের শাস্তি। আমার কলিজার টুকরা জান্নাতকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই, তাদের ফাঁসি চাই।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে তুই (আবু জাহের) ওই দিন বৈঠকে ছিলি বলে গালাগালি করে।

একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পেছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছলে মারা যায় তাসফিয়া। মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের সঙ্গে কোনোভাবেই সংপৃক্ততা ছিল না মাওলনা আবু জাহের বা তার মেয়ে তাসফিয়া। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিল এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হয় মাওলানা আবু জাহের, আর সেই টার্গেটের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় তাসফিয়া।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় তার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বাদশা ও রিমনসহ ১৭ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শিশু তাসফিয়া হত্যা মামলা ডিবিতে

 কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি 
১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৩ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
তাসপিয়া
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হাজীপুরে শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি নিহত তাসফিয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. রাজিবুল হাসান, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি প্রমুখ।

অন্যদিকে ঘটনার ৬ দিন পার হলেও মূল আসামিরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত তাসফিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের। 

কান্নাজড়িত কন্ঠে পুলিশ সুপারকে আবু জাহের বলেন, আমরা চাই অপরাধীদের শাস্তি। আমার কলিজার টুকরা জান্নাতকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই, তাদের ফাঁসি চাই।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে তুই (আবু জাহের) ওই দিন বৈঠকে ছিলি বলে গালাগালি করে। 

একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পেছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। 

পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছলে মারা যায় তাসফিয়া। মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের সঙ্গে কোনোভাবেই সংপৃক্ততা ছিল না মাওলনা আবু জাহের বা তার মেয়ে তাসফিয়া। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিল এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হয় মাওলানা আবু জাহের, আর সেই টার্গেটের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় তাসফিয়া।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় তার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বাদশা ও রিমনসহ ১৭ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন