রিমনের ছোড়া গুলিতেই প্রাণ হারায় তাসফিয়া
নোয়াখালী প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৫৩:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী রিমনের ছোড়া গুলিতেই বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসফিয়া (৩) মারা যায়। এ ঘটনায় তার বাবাও মাথায় এবং চোখে গুলিবিদ্ধ হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তাসফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রিমন (২৫)। মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে প্রধান আসামি রিমনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ১১।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল বিকালে মাওলানা মো. আবু জাহের তার ৩ বছরের শিশু কন্যা তাসফিয়াকে চকলেট ও চিপস কিনে দেয়ার জন্য বেগমগঞ্জ থানাধীন হাজীপুর গ্রামে একটি দোকানে ৩ যান। এ সময় কুখ্যাত সন্ত্রাসী রিমন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়।
এ সময় পূর্বের ক্ষোভের জেরে রিমনসহ গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা মাওলানা মো. আবু জাহেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট ছুড়ে মারলে মাওলানা জাহেরের ৩ বছরের শিশু কন্যা তাসফিয়া আক্তার জান্নাত নৃশংসভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, ভিকটিম এ সময় তার শিশু কন্যাকে না মারার জন্য মিনতি করতে থাকেন এবং শিশু কন্যা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে কোলে নিয়ে বাড়িতে দিয়ে আসার জন্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে উদ্যত হন। এ সময় সন্ত্রাসী রিমন তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাবা ও মেয়েকে এলোপাথাড়ি গুলি করে।
রিমনের ছোড়া গুলিতে বাবা ও মেয়ে দুজনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুলির আঘাতে জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়ার মাথায়, পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। এছাড়া মাওলানা জাহের এর মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়া মৃত্যুবরণ করে। গ্রেফতারকৃতরা তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রিমনের ছোড়া গুলিতেই প্রাণ হারায় তাসফিয়া
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী রিমনের ছোড়া গুলিতেই বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসফিয়া (৩) মারা যায়। এ ঘটনায় তার বাবাও মাথায় এবং চোখে গুলিবিদ্ধ হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তাসফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রিমন (২৫)। মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে প্রধান আসামি রিমনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ১১।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল বিকালে মাওলানা মো. আবু জাহের তার ৩ বছরের শিশু কন্যা তাসফিয়াকে চকলেট ও চিপস কিনে দেয়ার জন্য বেগমগঞ্জ থানাধীন হাজীপুর গ্রামে একটি দোকানে ৩ যান। এ সময় কুখ্যাত সন্ত্রাসী রিমন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়।
এ সময় পূর্বের ক্ষোভের জেরে রিমনসহ গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা মাওলানা মো. আবু জাহেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট ছুড়ে মারলে মাওলানা জাহেরের ৩ বছরের শিশু কন্যা তাসফিয়া আক্তার জান্নাত নৃশংসভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, ভিকটিম এ সময় তার শিশু কন্যাকে না মারার জন্য মিনতি করতে থাকেন এবং শিশু কন্যা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে কোলে নিয়ে বাড়িতে দিয়ে আসার জন্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে উদ্যত হন। এ সময় সন্ত্রাসী রিমন তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাবা ও মেয়েকে এলোপাথাড়ি গুলি করে।
রিমনের ছোড়া গুলিতে বাবা ও মেয়ে দুজনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুলির আঘাতে জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়ার মাথায়, পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। এছাড়া মাওলানা জাহের এর মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়া মৃত্যুবরণ করে। গ্রেফতারকৃতরা তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।