দুই কিডনি অকেজো, বাঁচতে চান মেহেদী
প্রাণচঞ্চল, সদা হাস্যোজ্জ্বল মেহেদী হাসান জুয়েল। বয়স সবেমাত্র ৩২ বছর। ১০ বছর আগে মারা যান বাবা ইউসুফ আলী মৃধা। সহায় সম্বল বলতে ভিটেমাটি পুরনো চৌচলা ঘর ছাড়া আর কিছু নেই।
নানা প্রতিকূলতা আর সীমাহীন দারিদ্র্যের মাঝে বেড়ে ওঠা মেহেদীর। তবু ছাত্রজীবন থেকেই মেহেদী ছিলেন পরোপকারী। ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স করে গ্রামে একটি নন-এমপিও অটিজম স্কুলে চার বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিধবা মায়ের অনেক স্বপ্ন ছেলেকে নিয়ে।
কিন্তু মারণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তার দুটি কিডনিই অকেজো হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। টগবগে এই যুবক ক্রমে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। তার দুই চোখে স্বপ্নের বদলে এখন শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। কিন্তু বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি।
মেহেদী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সি ব্লকের চতুর্থ তলায় ১৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। সবশেষ চিকিৎসক মেহেদীকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই বাঁচবেন মেহেদী।
এ জন্য প্রয়োজন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা, যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। সেটিও কিডনি ডোনারপ্রাপ্তি সাপেক্ষে। এ ছাড়া অপারেশনের পর একটা দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রতি মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাগবে।
মেহেদী হাসান বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় পুইয়াউটা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তার পরিবারের আয় উপার্জন বন্ধ। ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ, অন্যদিকে সাংসারিক খরচ চালাতে গিয়ে এখন দিশাহারা মেহেদীর বৃদ্ধ মা সেলিনা বেগম।
তিনি জানান, চোখের সামনে ছেলেটা যন্ত্রণা ভোগ করছে। কিছুই করতে পারছি না। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে মেহেদীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানসহ সবার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন বৃদ্ধ মা সেলিনা বেগম।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মো. মেহেদী হাসান, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ২০৫০৭৭৭০২০০৮১৫২১৮ (এজেন্ট ব্যাংকিং) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, বাকেরগঞ্জ শাখা, বরিশাল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দুই কিডনি অকেজো, বাঁচতে চান মেহেদী
প্রাণচঞ্চল, সদা হাস্যোজ্জ্বল মেহেদী হাসান জুয়েল। বয়স সবেমাত্র ৩২ বছর। ১০ বছর আগে মারা যান বাবা ইউসুফ আলী মৃধা। সহায় সম্বল বলতে ভিটেমাটি পুরনো চৌচলা ঘর ছাড়া আর কিছু নেই।
নানা প্রতিকূলতা আর সীমাহীন দারিদ্র্যের মাঝে বেড়ে ওঠা মেহেদীর। তবু ছাত্রজীবন থেকেই মেহেদী ছিলেন পরোপকারী। ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স করে গ্রামে একটি নন-এমপিও অটিজম স্কুলে চার বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিধবা মায়ের অনেক স্বপ্ন ছেলেকে নিয়ে।
কিন্তু মারণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তার দুটি কিডনিই অকেজো হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। টগবগে এই যুবক ক্রমে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। তার দুই চোখে স্বপ্নের বদলে এখন শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। কিন্তু বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি।
মেহেদী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সি ব্লকের চতুর্থ তলায় ১৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। সবশেষ চিকিৎসক মেহেদীকে কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই বাঁচবেন মেহেদী।
এ জন্য প্রয়োজন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা, যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। সেটিও কিডনি ডোনারপ্রাপ্তি সাপেক্ষে। এ ছাড়া অপারেশনের পর একটা দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রতি মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাগবে।
মেহেদী হাসান বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় পুইয়াউটা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তার পরিবারের আয় উপার্জন বন্ধ। ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ, অন্যদিকে সাংসারিক খরচ চালাতে গিয়ে এখন দিশাহারা মেহেদীর বৃদ্ধ মা সেলিনা বেগম।
তিনি জানান, চোখের সামনে ছেলেটা যন্ত্রণা ভোগ করছে। কিছুই করতে পারছি না। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে মেহেদীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানসহ সবার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন বৃদ্ধ মা সেলিনা বেগম।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মো. মেহেদী হাসান, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ২০৫০৭৭৭০২০০৮১৫২১৮ (এজেন্ট ব্যাংকিং) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, বাকেরগঞ্জ শাখা, বরিশাল।