নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে বাউফলের ৩ ইউনিয়ন
jugantor
নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে বাউফলের ৩ ইউনিয়ন

  বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি   

১৮ মে ২০২২, ১২:৪০:৩৯  |  অনলাইন সংস্করণ

তেঁতুলিয়া ও কারখানা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর, কাছিপাড়া ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি, চন্দ্রদ্বীপের চরব্যারেট, চরওয়াডেল এবং কাছিপাড়া ইউনিয়নের চর রঘুনদ্দিন, বাহেরচর, গোপালিয়া ও পশ্চিম কাছিপাড়া গ্রামে নদীভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা। বর্তমানে নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন কারখানা ও তেতুলিয়া নদী তীরবর্তী প্রায় ৩ হাজার পরিবার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাহেরচর ও গোপালিয়া বাজার, চর রঘুনদ্দিন, হিস্যাজাত, পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম কাছিপাড়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা কারখানা নদীভাঙনের মুখে পড়েছে।

কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে অব্যাহত ভাঙন চলছে। ইতোমধ্যে কাছিপাড়া ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামসহ শত শত ঘরবাড়ি নদীর অতল গর্ভে হারিয়ে গেছে।

গোপালিয়া গ্রামের ইউনুস প্যাদা নামের এক কৃষক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের জমি, বাগানবাড়ি, ঈদগাহ মাঠ সবকিছুই নদীতে ভেঙে গেছে। সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। রাতে ঘুমাতে পারি না, কখন বসতঘরটা ভেঙে নিয়ে যায়।

এদিকে ভাঙনে নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিমদি গ্রাম তেঁতুলিয়ার ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরব্যারেট ও চরওয়াডেল দ্রুতগতিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চন্দ্রদ্বীপের শত শত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আফরোজা বেগম বলেন, ভাঙন আতঙ্কে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এলাকাবাসী ভাঙনরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম বলেন, তিনটি ইউনিয়নের ভাঙনরোধের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে বাউফলের ৩ ইউনিয়ন

 বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  
১৮ মে ২০২২, ১২:৪০ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

তেঁতুলিয়া ও কারখানা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর, কাছিপাড়া ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি, চন্দ্রদ্বীপের চরব্যারেট, চরওয়াডেল এবং কাছিপাড়া ইউনিয়নের চর রঘুনদ্দিন, বাহেরচর, গোপালিয়া ও পশ্চিম কাছিপাড়া গ্রামে নদীভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা। বর্তমানে নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন কারখানা ও তেতুলিয়া নদী তীরবর্তী প্রায় ৩ হাজার পরিবার। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাহেরচর ও গোপালিয়া বাজার, চর রঘুনদ্দিন, হিস্যাজাত, পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম কাছিপাড়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা কারখানা নদীভাঙনের মুখে পড়েছে। 

কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে অব্যাহত ভাঙন চলছে। ইতোমধ্যে কাছিপাড়া ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামসহ শত শত ঘরবাড়ি নদীর অতল গর্ভে হারিয়ে গেছে। 

গোপালিয়া গ্রামের ইউনুস প্যাদা নামের এক কৃষক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের জমি, বাগানবাড়ি, ঈদগাহ মাঠ সবকিছুই নদীতে ভেঙে গেছে। সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। রাতে ঘুমাতে পারি না, কখন বসতঘরটা ভেঙে নিয়ে যায়। 

এদিকে ভাঙনে নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিমদি গ্রাম তেঁতুলিয়ার ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরব্যারেট ও চরওয়াডেল দ্রুতগতিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চন্দ্রদ্বীপের শত শত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। 

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আফরোজা বেগম বলেন, ভাঙন আতঙ্কে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এলাকাবাসী ভাঙনরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম বলেন, তিনটি ইউনিয়নের ভাঙনরোধের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন