সিনিয়র জুনিয়র দাবির দ্বন্দ্বে খুন হয় ধ্রুব
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ মে ২০২২, ০০:১১:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে সিনিয়র জুনিয়র দাবির দ্বন্দ্বে সহপাঠীরা ছুরিকাঘাত করে দশম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুব চন্দ্র দাসকে (১৬) খুন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পৃথক দুটি আদালতে গ্রেফতারকৃত তিন ছাত্র দোষ স্বীকার করে এ জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ইমানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ইসদাইর এলাকার মাধব চন্দ্র দাসের ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) একই এলাকার রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার রাতে নিজ স্কুলের কাছেই সড়কে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়। এ ঘটনায় ইসদাইর এলাকার মো. মিঠুর ছেলে ইয়াসিন (১৫), ইসদাইর উকিল বাড়ির লিটন দাসের ছেলে পিয়াস দাস (১৫), ইসদাইর বটতলার বিমল চন্দ্র শীলের ছেলে অন্তর চন্দ্র শীল (১৫), পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকানের বলয় চন্দ্রের ছেলে রিপন (১৬), ইসদাইর বাজার এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে জয় চন্দ্র দাস (১৭) ও বুড়ির দোকান এলাকার উজ্জ্বল চন্দ্র দাসের ছেলে রুদ্র চন্দ্র দাস (১৬)। তারা প্রত্যেকেই নবম শ্রেণির ছাত্র। তাদের ৬ জনকে ঘটনার পরপরই গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রিপন, রুদ্র চন্দ্র ও অন্তর চন্দ্র পৃথক দুটি আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা বলেছে ক্লাসের ধ্রুব চন্দ্র সিনিয়র হলেও বয়সে তাদের জুনিয়র ছিল। এজন্য তাকে মান্য করে চলতে বলেন তারা। কিন্তু ধ্রুব তাদের কোনো কথা না শুনে নিজের মতো চলার চেষ্টা করতেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে ধ্রুবকে পরিকল্পিতভাবে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেছে।
তদন্তকারী অফিসার বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩ জন ইয়াসিন, জয় চন্দ্র ও পিয়াসকে একই দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত থেকে ১ দিন করে রিমান্ডে থানায় নেওয়া হয়েছে।
আলোচিত এ ঘটনায় নিহতের বাবার দায়ের করা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর একমাত্র ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় নিজ বাসায় বসে লেখাপড়া করছিল। রাত ৮টার দিকে সহপাঠী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস বাসায় এসে তাদের অপর এক সহপাঠীর জন্মদিনের গিফট কেনার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া স্কুলের সামনে রাস্তায় পৌঁছলে নিহতের সহপাঠী শ্রী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাসসহ অভিযুক্তরা ছোরা চাকু, সুইচ গিয়ার চাকু, লোহার পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ধ্রুবকে এলোপাতাড়ি মারপিট করিতে থাকে। একপর্যায়ে হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে ধ্রুবকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এমন সময় অভিযুক্ত ইয়াসিন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ধ্রুবকে ছুরিকাঘাত করে। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে ধ্রুবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিনিয়র জুনিয়র দাবির দ্বন্দ্বে খুন হয় ধ্রুব
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে সিনিয়র জুনিয়র দাবির দ্বন্দ্বে সহপাঠীরা ছুরিকাঘাত করে দশম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুব চন্দ্র দাসকে (১৬) খুন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পৃথক দুটি আদালতে গ্রেফতারকৃত তিন ছাত্র দোষ স্বীকার করে এ জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ইমানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ইসদাইর এলাকার মাধব চন্দ্র দাসের ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) একই এলাকার রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার রাতে নিজ স্কুলের কাছেই সড়কে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়। এ ঘটনায় ইসদাইর এলাকার মো. মিঠুর ছেলে ইয়াসিন (১৫), ইসদাইর উকিল বাড়ির লিটন দাসের ছেলে পিয়াস দাস (১৫), ইসদাইর বটতলার বিমল চন্দ্র শীলের ছেলে অন্তর চন্দ্র শীল (১৫), পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকানের বলয় চন্দ্রের ছেলে রিপন (১৬), ইসদাইর বাজার এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে জয় চন্দ্র দাস (১৭) ও বুড়ির দোকান এলাকার উজ্জ্বল চন্দ্র দাসের ছেলে রুদ্র চন্দ্র দাস (১৬)। তারা প্রত্যেকেই নবম শ্রেণির ছাত্র। তাদের ৬ জনকে ঘটনার পরপরই গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রিপন, রুদ্র চন্দ্র ও অন্তর চন্দ্র পৃথক দুটি আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা বলেছে ক্লাসের ধ্রুব চন্দ্র সিনিয়র হলেও বয়সে তাদের জুনিয়র ছিল। এজন্য তাকে মান্য করে চলতে বলেন তারা। কিন্তু ধ্রুব তাদের কোনো কথা না শুনে নিজের মতো চলার চেষ্টা করতেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে ধ্রুবকে পরিকল্পিতভাবে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেছে।
তদন্তকারী অফিসার বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩ জন ইয়াসিন, জয় চন্দ্র ও পিয়াসকে একই দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত থেকে ১ দিন করে রিমান্ডে থানায় নেওয়া হয়েছে।
আলোচিত এ ঘটনায় নিহতের বাবার দায়ের করা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর একমাত্র ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় নিজ বাসায় বসে লেখাপড়া করছিল। রাত ৮টার দিকে সহপাঠী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস বাসায় এসে তাদের অপর এক সহপাঠীর জন্মদিনের গিফট কেনার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া স্কুলের সামনে রাস্তায় পৌঁছলে নিহতের সহপাঠী শ্রী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাসসহ অভিযুক্তরা ছোরা চাকু, সুইচ গিয়ার চাকু, লোহার পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ধ্রুবকে এলোপাতাড়ি মারপিট করিতে থাকে। একপর্যায়ে হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে ধ্রুবকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এমন সময় অভিযুক্ত ইয়াসিন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ধ্রুবকে ছুরিকাঘাত করে। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে ধ্রুবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।