মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় অধ্যক্ষ আটক
ফেনী প্রতিনিধি
২২ মে ২০২২, ১০:০৫:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
ফেনী শহরের মিসবাহুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ইস্রাফিল হোসেন ইফাদের (১৪) মৃত্যুর ঘটনায় মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ইউনুসকে রাতে আটক করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার সকালে মাদ্রাসা ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। ইফাদ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাত ইউনিয়নের সাতগরিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী ইয়াসিনের ছেলে।
স্থানীয়দের ধারণা, মাদ্রাসার ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তবে সে আত্মহত্যা করেছে না কেউ তাকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিহতের মা লায়লা আনজুমান বলেন, মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল ইফাদ। তবে সে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম বলেনি। আমি ধারণা করেছিলাম, সে মাদ্রাসায় না যাওয়ার জন্য মিথ্যা বলছে। তাই তাকে মাদ্রাসায় রেখে আসি।
নিহতের সহপাঠী মোবারক জানায়, ছাদ থেকে কাপড় আনতে রাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে ছাদে যায় ইফাত। এ সময় সে তাকেও সঙ্গে নিয়ে যায়। কিন্তু অন্ধকার বেশি হওয়ায় ইফাতের সঙ্গে ছাদে না গিয়ে পঞ্চম তলা থেকে সে রুমে ফিরে আসে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ ইউনুস বলেন, গত পাঁচ দিন আগে ইফাত মাদ্রাসায় কিছু না জানিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়ি গিয়ে তার মাকে জানায়, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করত। তাই সে মাদ্রাসায় পড়তে রাজি নয়। তবে তার মা বিষয়টি আমলে না নিয়ে শুক্রবার বিকালে মাদ্রাসায় রেখে যান।
তিনি বলেন, আমরা তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে মাদ্রাসায় রাখতে অপারগতা প্রকাশ করি। তার পরও তার মা জোর করে ইফাতকে রেখে যান। রাতে ফজরের আগে পড়ার সময় তাকে ক্লাসে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিছু সময় পর বাড়ির মালিক আমাদের খবর দেন একজন ছাত্রের লাশ ভবনের সামনের রাস্তায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ফেনী মডেল থানার এসআই ইফরান খান জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভাঙা বালতি জব্দ করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় অধ্যক্ষ আটক
ফেনী শহরের মিসবাহুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ইস্রাফিল হোসেন ইফাদের (১৪) মৃত্যুর ঘটনায় মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ইউনুসকে রাতে আটক করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার সকালে মাদ্রাসা ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। ইফাদ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাত ইউনিয়নের সাতগরিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী ইয়াসিনের ছেলে।
স্থানীয়দের ধারণা, মাদ্রাসার ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তবে সে আত্মহত্যা করেছে না কেউ তাকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিহতের মা লায়লা আনজুমান বলেন, মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল ইফাদ। তবে সে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম বলেনি। আমি ধারণা করেছিলাম, সে মাদ্রাসায় না যাওয়ার জন্য মিথ্যা বলছে। তাই তাকে মাদ্রাসায় রেখে আসি।
নিহতের সহপাঠী মোবারক জানায়, ছাদ থেকে কাপড় আনতে রাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে ছাদে যায় ইফাত। এ সময় সে তাকেও সঙ্গে নিয়ে যায়। কিন্তু অন্ধকার বেশি হওয়ায় ইফাতের সঙ্গে ছাদে না গিয়ে পঞ্চম তলা থেকে সে রুমে ফিরে আসে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ ইউনুস বলেন, গত পাঁচ দিন আগে ইফাত মাদ্রাসায় কিছু না জানিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়ি গিয়ে তার মাকে জানায়, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করত। তাই সে মাদ্রাসায় পড়তে রাজি নয়। তবে তার মা বিষয়টি আমলে না নিয়ে শুক্রবার বিকালে মাদ্রাসায় রেখে যান।
তিনি বলেন, আমরা তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে মাদ্রাসায় রাখতে অপারগতা প্রকাশ করি। তার পরও তার মা জোর করে ইফাতকে রেখে যান। রাতে ফজরের আগে পড়ার সময় তাকে ক্লাসে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিছু সময় পর বাড়ির মালিক আমাদের খবর দেন একজন ছাত্রের লাশ ভবনের সামনের রাস্তায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ফেনী মডেল থানার এসআই ইফরান খান জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভাঙা বালতি জব্দ করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করা হয়েছে।