পরকীয়া সম্পর্ক ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা
নরসিংদী ও বেলাবো প্রতিনিধি
২৩ মে ২০২২, ০০:০৯:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
পরকীয়া সম্পর্ক ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নরসিংদীর বেলাবোতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেছে গিয়াস শেখ। হত্যার পর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সাজানো হয়েছে মুখরোচক গল্প। দিনভর নানা রহস্য থাকলেও বেলা গড়াতেই খুলতে শুরু করে রহস্যের জট।
গিয়াস শেখকে গ্রেফতারের পর একে একে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ক্রিকেট ব্যাট জব্দ করা হয়।
রোববার দুপুরে বেলাবো উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের শেখবাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী গিয়াস শেখ, প্রতিবেশী রেনু মিয়া, রিমন শেখ, রাজিবসহ কমপক্ষে ৫ জনকে আটক করেছে বেলাবো থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের মরদেহ দেখতে শত শত উৎসুক জনতা নিহতের বাড়িতে ভিড় জমান। নিহতরা হলেন- ঘাতক গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫), তার ছেলে সন্তান রাব্বি (১৩) ও মেয়ে রাকিবা আক্তার (৬)।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সূত্রে জানিয়েছেন, নিহত রহিমা বেগমের স্বামী গিয়াস শেখ পেশায় রং মিস্ত্রি। একই সঙ্গে মাদকাসক্ত ও জুয়ারি। সকালে বেলাবোর পাটুলি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামে একই পরিবারের ৩ জন নিহতের ঘটনায় নরসিংদী জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, বেলাবো থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে একটি ঘরের মেঝেতে স্ত্রী রহিমার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। অন্য একটি ঘরে বিছানার উপর দুই সন্তানের লাশ পড়ে আছে। শুরু হয় তদন্ত।
একপর্যায়ে নিহতের স্বামী পুলিশকে জানায় কাজের সুবাদে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরে যায়। এরই মধ্যে সকালে মোবাইল ফোনে স্ত্রী ও সন্তানদের মৃত্যুর খবর পায়। বাড়িতে এসে দেখে একটি ঘরের মেঝেতে স্ত্রী রহিমার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। অন্য একটি ঘরে বিছানার ওপর দুই সন্তানের লাশ পড়ে আছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু করেন।
পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, তিনটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর নিহতের স্বজনরা কান্নাকাটি শুরু করেন। কিন্তু নিহতের স্বামী গিয়াস শেখের মধ্যে কোনো প্রকার অনুতপ্ত ছিল না। তাই তার প্রতি সন্দেহ ঘনীভূত হয়। পরে তার মোবাইল ট্র্যাক করে এলাকায় থাকার তথ্য পায় পিবিআই। একই সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পিবিআই। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি জানান, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির অদূরের একটি খাল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুড়ি উদ্ধার করা হয়। একটি জঙ্গল থেকে রক্তমাখা ক্রিকেট ব্যাট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ঘাতক গিয়াস শেখের জবানবন্দি মতে- গিয়াস গাজীপুর চলে যাওয়ার কথা বললেও এটা সত্য নয়। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেও গভীর রাতে সে বাড়ি ফিরে আসে। তার স্ত্রী সন্তানরা ঘুমিয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে গিয়াস ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তার স্ত্রীকে উপর্যুপরি পেটায়। পরে তাকে মাটিতে ফেলে মাথায় ও বুকের মাঝখানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। স্ত্রীকে হত্যার পর পাশের ঘরে ঘুমন্ত ছেলেমেয়েকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার এনায়েত আরও বলেন, বাড়ির রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী রেনু মিয়াদের সাথে ঝগড়া ছিল। তাই মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং পরকীয়ার কারণেই ঠাণ্ডা মাথায় স্ত্রী সন্তানদের হত্যা করে। শুধু তাই নয়, হত্যার পর আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও পিবিআইকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুপুর পর্যন্ত বিভ্রান্ত করে রাখেন।
এদিকে শরীফা আক্তার নামের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, নিহত রহিমার কাছে জামা সেলাই করতে দিয়েছেন তিনি। সকাল ৭টার দিকে তিনি রহিমাদের বাড়ি আসেন। এসে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। একই সঙ্গে রহিমাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া দেয় নাই। কাছে গিয়ে রহিমার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পাশের ঘরে চৌকির ওপর দুই সন্তানের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
পিবিআইর হাতে আটক হওয়ার আগে নিহত রহিমার স্বামী গিয়াস শেখ জানিয়েছেন, গত ১৫ দিন আগে বাড়ির পেছন থেকে একটি গাছ বিক্রি করেন তিনি। বাড়ির চার পাশজুড়ে প্রতিবেশী রেনু মিয়ার জায়গা। এই গাছটি বাড়ির ওপর দিয়ে নিতে গেলে রেনু মিয়া বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রেনু মিয়ার ঝগড়া হয়। ওই সময় রেনু মিয়া তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী।
তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদা বেগম জানান, গিয়াসের বাড়ির চারদিকের পুরো জায়গা রেনু মিয়ার। রেনুর জায়গা দিয়েই গিয়াসদের চলাচল করতে হয়। জমিজমা নিয়ে রেনুর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। কয়েক দিন আগে গিয়াস বিক্রির জন্য তার বাড়ির কিছু গাছ কাটেন। এই গাছ রেনুর জায়গা দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে রেনু বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। স্থানীয়রাও তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানতে পারেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বাবলা গ্রামে পাশাপাশি দুইটি মাটির ঘর। একটির মেঝেতে পড়ে আছে রহিমা বেগমের রক্তাক্ত লাশ। পাশের আরেকটি ঘরে পাশাপাশি দুইটি শিশুর লাশ পড়ে আছে। বাড়ির আঙিনাজুড়ে শত শত উৎসুক জনতা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পরকীয়া সম্পর্ক ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা
পরকীয়া সম্পর্ক ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নরসিংদীর বেলাবোতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেছে গিয়াস শেখ। হত্যার পর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সাজানো হয়েছে মুখরোচক গল্প। দিনভর নানা রহস্য থাকলেও বেলা গড়াতেই খুলতে শুরু করে রহস্যের জট।
গিয়াস শেখকে গ্রেফতারের পর একে একে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ক্রিকেট ব্যাট জব্দ করা হয়।
রোববার দুপুরে বেলাবো উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের শেখবাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী গিয়াস শেখ, প্রতিবেশী রেনু মিয়া, রিমন শেখ, রাজিবসহ কমপক্ষে ৫ জনকে আটক করেছে বেলাবো থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের মরদেহ দেখতে শত শত উৎসুক জনতা নিহতের বাড়িতে ভিড় জমান। নিহতরা হলেন- ঘাতক গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫), তার ছেলে সন্তান রাব্বি (১৩) ও মেয়ে রাকিবা আক্তার (৬)।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সূত্রে জানিয়েছেন, নিহত রহিমা বেগমের স্বামী গিয়াস শেখ পেশায় রং মিস্ত্রি। একই সঙ্গে মাদকাসক্ত ও জুয়ারি। সকালে বেলাবোর পাটুলি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামে একই পরিবারের ৩ জন নিহতের ঘটনায় নরসিংদী জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, বেলাবো থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে একটি ঘরের মেঝেতে স্ত্রী রহিমার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। অন্য একটি ঘরে বিছানার উপর দুই সন্তানের লাশ পড়ে আছে। শুরু হয় তদন্ত।
একপর্যায়ে নিহতের স্বামী পুলিশকে জানায় কাজের সুবাদে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরে যায়। এরই মধ্যে সকালে মোবাইল ফোনে স্ত্রী ও সন্তানদের মৃত্যুর খবর পায়। বাড়িতে এসে দেখে একটি ঘরের মেঝেতে স্ত্রী রহিমার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। অন্য একটি ঘরে বিছানার ওপর দুই সন্তানের লাশ পড়ে আছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু করেন।
পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, তিনটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর নিহতের স্বজনরা কান্নাকাটি শুরু করেন। কিন্তু নিহতের স্বামী গিয়াস শেখের মধ্যে কোনো প্রকার অনুতপ্ত ছিল না। তাই তার প্রতি সন্দেহ ঘনীভূত হয়। পরে তার মোবাইল ট্র্যাক করে এলাকায় থাকার তথ্য পায় পিবিআই। একই সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পিবিআই। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি জানান, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির অদূরের একটি খাল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুড়ি উদ্ধার করা হয়। একটি জঙ্গল থেকে রক্তমাখা ক্রিকেট ব্যাট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ঘাতক গিয়াস শেখের জবানবন্দি মতে- গিয়াস গাজীপুর চলে যাওয়ার কথা বললেও এটা সত্য নয়। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেও গভীর রাতে সে বাড়ি ফিরে আসে। তার স্ত্রী সন্তানরা ঘুমিয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে গিয়াস ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তার স্ত্রীকে উপর্যুপরি পেটায়। পরে তাকে মাটিতে ফেলে মাথায় ও বুকের মাঝখানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। স্ত্রীকে হত্যার পর পাশের ঘরে ঘুমন্ত ছেলেমেয়েকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার এনায়েত আরও বলেন, বাড়ির রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী রেনু মিয়াদের সাথে ঝগড়া ছিল। তাই মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং পরকীয়ার কারণেই ঠাণ্ডা মাথায় স্ত্রী সন্তানদের হত্যা করে। শুধু তাই নয়, হত্যার পর আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও পিবিআইকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুপুর পর্যন্ত বিভ্রান্ত করে রাখেন।
এদিকে শরীফা আক্তার নামের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, নিহত রহিমার কাছে জামা সেলাই করতে দিয়েছেন তিনি। সকাল ৭টার দিকে তিনি রহিমাদের বাড়ি আসেন। এসে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। একই সঙ্গে রহিমাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া দেয় নাই। কাছে গিয়ে রহিমার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পাশের ঘরে চৌকির ওপর দুই সন্তানের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
পিবিআইর হাতে আটক হওয়ার আগে নিহত রহিমার স্বামী গিয়াস শেখ জানিয়েছেন, গত ১৫ দিন আগে বাড়ির পেছন থেকে একটি গাছ বিক্রি করেন তিনি। বাড়ির চার পাশজুড়ে প্রতিবেশী রেনু মিয়ার জায়গা। এই গাছটি বাড়ির ওপর দিয়ে নিতে গেলে রেনু মিয়া বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রেনু মিয়ার ঝগড়া হয়। ওই সময় রেনু মিয়া তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী।
তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদা বেগম জানান, গিয়াসের বাড়ির চারদিকের পুরো জায়গা রেনু মিয়ার। রেনুর জায়গা দিয়েই গিয়াসদের চলাচল করতে হয়। জমিজমা নিয়ে রেনুর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। কয়েক দিন আগে গিয়াস বিক্রির জন্য তার বাড়ির কিছু গাছ কাটেন। এই গাছ রেনুর জায়গা দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে রেনু বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। স্থানীয়রাও তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানতে পারেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বাবলা গ্রামে পাশাপাশি দুইটি মাটির ঘর। একটির মেঝেতে পড়ে আছে রহিমা বেগমের রক্তাক্ত লাশ। পাশের আরেকটি ঘরে পাশাপাশি দুইটি শিশুর লাশ পড়ে আছে। বাড়ির আঙিনাজুড়ে শত শত উৎসুক জনতা।