মাস্কিপক্স: আখাউড়া বন্দরে সতর্কতা
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৩ মে ২০২২, ০০:১৭:১১ | অনলাইন সংস্করণ
করোনার মহামারি কাটতে না কাটতেই নতুন করে আলোচনায় বিরল রোগ মাস্কিপক্স। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তা ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে গ্রহণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক।
চিঠিতে বলা হয়- আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ এ পর্যন্ত বিশ্বের ১২টি দেশে নতুন এ ‘মাস্কিপক্স’ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়।
সরকারের নির্দেশনা অনুসারে মাস্কিপক্স আক্রমণের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে সতর্কতা অবলম্বনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধে আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে হেলথ স্কিনিং কার্যক্রম জোরদারকরন ও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হিমেল খান যুগান্তরকে বলেন, দেশের অন্যান্য বন্দরের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগকেও আমরা সতর্ক থাকতে ইতোমধ্যে নির্দেশ প্রদান করেছি। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং অতিদ্রুত যেন তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ
আগত কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রী কারও মধ্যে উপসর্গ থাকলে বা সন্দেহ হলে তাকে চিহ্নিত করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে।
মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জোড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ। জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের অন্যান্য জায়গায়।
এই গুটির জন্য রোগী দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। জল বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে সেই ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়। রোগ দেখা দেওয়ার ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সংক্রমিত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মাস্কিপক্স: আখাউড়া বন্দরে সতর্কতা
করোনার মহামারি কাটতে না কাটতেই নতুন করে আলোচনায় বিরল রোগ মাস্কিপক্স। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তা ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে গ্রহণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক।
চিঠিতে বলা হয়- আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ এ পর্যন্ত বিশ্বের ১২টি দেশে নতুন এ ‘মাস্কিপক্স’ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়।
সরকারের নির্দেশনা অনুসারে মাস্কিপক্স আক্রমণের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে সতর্কতা অবলম্বনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধে আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে হেলথ স্কিনিং কার্যক্রম জোরদারকরন ও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হিমেল খান যুগান্তরকে বলেন, দেশের অন্যান্য বন্দরের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগকেও আমরা সতর্ক থাকতে ইতোমধ্যে নির্দেশ প্রদান করেছি। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং অতিদ্রুত যেন তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ
আগত কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রী কারও মধ্যে উপসর্গ থাকলে বা সন্দেহ হলে তাকে চিহ্নিত করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে।
মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জোড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ। জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের অন্যান্য জায়গায়।
এই গুটির জন্য রোগী দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। জল বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে সেই ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়। রোগ দেখা দেওয়ার ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সংক্রমিত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।