পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্দি ৩৫ হাজার মানুষ
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুরে কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জিনজিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি বৃদ্ধি অবাহ্যত রয়েছে। ফলে ৩২টি গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও কলার ভেলায় করে চলাচল করছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ।
এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। কিছু গ্রামে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। তলিয়ে গেছে আমন বীজতলা, বোরো ধান ও সবজি ক্ষেত।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বন্যায় উপজেলার ২৫টি বিদ্যালয় পানিবন্দি হওয়ায় সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, স্কুল মাঠ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বকবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়, নামা বকবান্ধা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়ের হোসেন বলেন, বন্যায় শৌলমারী, রৌমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের ২২ কিলোমিটার কাঁচা পাকা রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকার লোকজন নৌকায় ও কলার ভেলায় করে চলাচল করছেন।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, উপজেলায় ২৮৩ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় তলিয়ে গেছে।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বন্যার আক্রান্তদের জন্য ৩ লাখ টাকায় ত্রাণ সমগ্রী ক্রয় করে প্যাকেট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আবারো ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্দি ৩৫ হাজার মানুষ
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুরে কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জিনজিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি বৃদ্ধি অবাহ্যত রয়েছে। ফলে ৩২টি গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও কলার ভেলায় করে চলাচল করছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ।
এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। কিছু গ্রামে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। তলিয়ে গেছে আমন বীজতলা, বোরো ধান ও সবজি ক্ষেত।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বন্যায় উপজেলার ২৫টি বিদ্যালয় পানিবন্দি হওয়ায় সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, স্কুল মাঠ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বকবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়, নামা বকবান্ধা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়ের হোসেন বলেন, বন্যায় শৌলমারী, রৌমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের ২২ কিলোমিটার কাঁচা পাকা রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকার লোকজন নৌকায় ও কলার ভেলায় করে চলাচল করছেন।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, উপজেলায় ২৮৩ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় তলিয়ে গেছে।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বন্যার আক্রান্তদের জন্য ৩ লাখ টাকায় ত্রাণ সমগ্রী ক্রয় করে প্যাকেট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আবারো ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।