রংপুরের চার জেলার ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে
রংপুর ব্যুরো
২৪ জুন ২০২২, ০০:৪১:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
উজান থেকে নেমে আসা তিস্তার ঢল এবং অতিবর্ষণে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্যার কারণে এ বিভাগের ৪ জেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে রয়েছে।
যেসব ফসল নিমজ্জিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- আমন বীজতলা, আউশ, শাক-সবজি, চীনাবাদাম, পাট, কাউন, পাট, আদা, হলুদ তিল ইত্যাদি।
ক্ষেতের ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার কৃষকরা চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর কৃষকদের আগাম অন্য ফসল রোপণের পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় রোপা ১৮ হাজার ৩৯৫ হেক্টর আমনের বীজতলাসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুড়িগ্রামে ১৫ হাজার ৮৫১ হেক্টর, গাইবান্ধায় ২ হাজার ১৫১ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৩৮০ হেক্টর ও রংপুরে ১০ হেক্টর রয়েছে। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী ও জলাবদ্ধতা হলে এসব ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে না বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের আমন চাষি ইউনুস আলী, সোহরাব মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, বন্যায় তাদের আমনের বীজতলা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তারা আমনের আবাদ করতে পারবেন কিনা- এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
একই অবস্থা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ অন্যান্য জেলার প্রায় আমন চাষির। এছাড়াও বাদাম, সবজিসহ বিভিন্ন উঠতি ফসলের ক্ষতিতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, রংপুরে আমনের কিছু বীজতলা কিছু নিমজ্জিত হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রংপুরের চার জেলার ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে
উজান থেকে নেমে আসা তিস্তার ঢল এবং অতিবর্ষণে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্যার কারণে এ বিভাগের ৪ জেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে রয়েছে।
যেসব ফসল নিমজ্জিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- আমন বীজতলা, আউশ, শাক-সবজি, চীনাবাদাম, পাট, কাউন, পাট, আদা, হলুদ তিল ইত্যাদি।
ক্ষেতের ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার কৃষকরা চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর কৃষকদের আগাম অন্য ফসল রোপণের পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় রোপা ১৮ হাজার ৩৯৫ হেক্টর আমনের বীজতলাসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুড়িগ্রামে ১৫ হাজার ৮৫১ হেক্টর, গাইবান্ধায় ২ হাজার ১৫১ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৩৮০ হেক্টর ও রংপুরে ১০ হেক্টর রয়েছে। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী ও জলাবদ্ধতা হলে এসব ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে না বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের আমন চাষি ইউনুস আলী, সোহরাব মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, বন্যায় তাদের আমনের বীজতলা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তারা আমনের আবাদ করতে পারবেন কিনা- এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
একই অবস্থা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ অন্যান্য জেলার প্রায় আমন চাষির। এছাড়াও বাদাম, সবজিসহ বিভিন্ন উঠতি ফসলের ক্ষতিতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, রংপুরে আমনের কিছু বীজতলা কিছু নিমজ্জিত হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।