গভীর রাতে ত্রাণ নিয়ে এলেন এমপি
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০২২, ০২:০৮:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
জারু মিয়া, বয়স ৭৫। ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে তার চার জনের সংসার। প্রতিবন্ধী ছেলে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায়। নিজের কোন বাড়িঘর নেই। থাকেন অন্যের জায়গায়। সেখানে হানা দিয়েছে বন্যার পানি, তাই আশ্রয় নিতে হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
বন্যার পানির কারণে কয়েকদিন ধরে ভিক্ষা করতে পারছেন না তিনি। তাই খুব কষ্টে যাচ্ছে তার অভাবের সংসার।
ঘরে চাল-ডাল না থাকায় প্রায়ই রাতে না খেয়েই ঘুমাতে যান তারা। নিজে না খেলেও স্ত্রী সন্তানদের কথা ভেবে বেদনায় চোখে ঘুম নেই এই বৃদ্ধের।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা, দরজায় কড়া নাড়ছেন একজন, ভেতর থেকে জারু মিয়া বলে উঠলেন ‘কেডা কেডা’। দরজা খুলে দেখেন হাতে ত্রাণ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন স্থানীয় এমপি। ত্রাণের প্যাকেট পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জারু মিয়া।
ত্রাণ পেয়ে জারু মিয়া জানান, ‘আমি ভিক্ষা কইরা সংসারটারে চালাই। পানির লাইগা এহন আর ভিক্ষা করতাম পারিনা। ঘরে রান্দনের কুসতা নাই। পুলাপাইন না খাইয়া ঘুমাইসে। এমপি সাব যেতা দিসে হিতা অহন রাইন্দা পুলাপাইনরে ঘুম থেইক্যা তুইল্লা খাওয়ামু।’
এভাবেই গভীর রাতে ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১, নাসিরনগর আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এসময় তিনি উপজেলার গোর্কণ, পূর্বভাগ, গুনিয়াউক, ও চাপরতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন, সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান খান শাওন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমূখ।
বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম যুগান্তরকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কেউ না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমারা করোনা মোকাবেলা করেছি, বন্যাও আমরা কাটিয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গভীর রাতে ত্রাণ নিয়ে এলেন এমপি
জারু মিয়া, বয়স ৭৫। ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে তার চার জনের সংসার। প্রতিবন্ধী ছেলে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায়। নিজের কোন বাড়িঘর নেই। থাকেন অন্যের জায়গায়। সেখানে হানা দিয়েছে বন্যার পানি, তাই আশ্রয় নিতে হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
বন্যার পানির কারণে কয়েকদিন ধরে ভিক্ষা করতে পারছেন না তিনি। তাই খুব কষ্টে যাচ্ছে তার অভাবের সংসার।
ঘরে চাল-ডাল না থাকায় প্রায়ই রাতে না খেয়েই ঘুমাতে যান তারা। নিজে না খেলেও স্ত্রী সন্তানদের কথা ভেবে বেদনায় চোখে ঘুম নেই এই বৃদ্ধের।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা, দরজায় কড়া নাড়ছেন একজন, ভেতর থেকে জারু মিয়া বলে উঠলেন ‘কেডা কেডা’। দরজা খুলে দেখেন হাতে ত্রাণ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন স্থানীয় এমপি। ত্রাণের প্যাকেট পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জারু মিয়া।
ত্রাণ পেয়ে জারু মিয়া জানান, ‘আমি ভিক্ষা কইরা সংসারটারে চালাই। পানির লাইগা এহন আর ভিক্ষা করতাম পারিনা। ঘরে রান্দনের কুসতা নাই। পুলাপাইন না খাইয়া ঘুমাইসে। এমপি সাব যেতা দিসে হিতা অহন রাইন্দা পুলাপাইনরে ঘুম থেইক্যা তুইল্লা খাওয়ামু।’
এভাবেই গভীর রাতে ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১, নাসিরনগর আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এসময় তিনি উপজেলার গোর্কণ, পূর্বভাগ, গুনিয়াউক, ও চাপরতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন, সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান খান শাওন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমূখ।
বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম যুগান্তরকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কেউ না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমারা করোনা মোকাবেলা করেছি, বন্যাও আমরা কাটিয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ।