মধ্যরাতে দুপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
রাঙামাটির রাজস্থলীতে দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম অভিষেক চাকমা (৩৫) বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সদস্য বলে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেলেও তা অস্বীকার করেছে জেএসএস।
সহকারী পুলিশ সুপার (রাজস্থলী সার্কেল) মো. আবু ছালেহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি জেএসএসের সক্রিয় সদস্য বলে আমরা জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারে পুলিশ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে রাজস্থলী উপজেলা সদরের নিকটবর্তী ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগারিপাড়া নামক এলাকায় মারমা ন্যাশনাল পার্টি (মগ পার্টি) এবং জেএসএসের দুই সশস্ত্র গ্রুপ মুখোমুখি হলে উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। অন্তত আধাঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর উভয়গ্রুপের সদস্যরা চলে যায়। তখন প্রাণ ভয়ে স্থানীয়দের কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। শনিবার সকালে ওই এলাকায় রাস্তার ওপর জলপাই রঙের ইউনিফর্ম পরা একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখলে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তবে দুর্গমতার কারণে এখনো লাশ উদ্ধার সম্ভব হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, মূল জেএসএস ও মগ পার্টির মধ্যে এ গোলাগুলি হয়। বর্তমানে উভয় দলের সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থানে আছ। এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ওগারিপাড়া এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। শনিবার সকালে এলাকার মানুষ কাজে বের হলে রাস্তায় জলপায় রঙের পোশাক পড়া একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি পুলিশকে ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছি।
এদিকে নিহত ব্যক্তি তাদের সংগঠনের কেউ নয় বলে দাবি করে জেএসএস রাঙামাটি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা জানিয়েছেন, রাজস্থলীতে তাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। তা ছাড়া তাদের কোনো সশস্ত্র দল বা গ্রুপ নেই। জেএসএসের কোনো সদস্য নিহত হওয়ার খবর আমার কাছে নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মধ্যরাতে দুপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
রাঙামাটির রাজস্থলীতে দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম অভিষেক চাকমা (৩৫) বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সদস্য বলে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেলেও তা অস্বীকার করেছে জেএসএস।
সহকারী পুলিশ সুপার (রাজস্থলী সার্কেল) মো. আবু ছালেহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি জেএসএসের সক্রিয় সদস্য বলে আমরা জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারে পুলিশ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে রাজস্থলী উপজেলা সদরের নিকটবর্তী ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগারিপাড়া নামক এলাকায় মারমা ন্যাশনাল পার্টি (মগ পার্টি) এবং জেএসএসের দুই সশস্ত্র গ্রুপ মুখোমুখি হলে উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। অন্তত আধাঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর উভয়গ্রুপের সদস্যরা চলে যায়। তখন প্রাণ ভয়ে স্থানীয়দের কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। শনিবার সকালে ওই এলাকায় রাস্তার ওপর জলপাই রঙের ইউনিফর্ম পরা একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখলে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তবে দুর্গমতার কারণে এখনো লাশ উদ্ধার সম্ভব হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, মূল জেএসএস ও মগ পার্টির মধ্যে এ গোলাগুলি হয়। বর্তমানে উভয় দলের সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থানে আছ। এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ওগারিপাড়া এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। শনিবার সকালে এলাকার মানুষ কাজে বের হলে রাস্তায় জলপায় রঙের পোশাক পড়া একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি পুলিশকে ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছি।
এদিকে নিহত ব্যক্তি তাদের সংগঠনের কেউ নয় বলে দাবি করে জেএসএস রাঙামাটি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা জানিয়েছেন, রাজস্থলীতে তাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। তা ছাড়া তাদের কোনো সশস্ত্র দল বা গ্রুপ নেই। জেএসএসের কোনো সদস্য নিহত হওয়ার খবর আমার কাছে নেই।