পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: নেচে-নেচে অনুষ্ঠান মাতালেন আ.লীগ নেতা
রাজশাহী ব্যুরো
২৫ জুন ২০২২, ১৯:৩৭:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী মহানগরীর তিনটি স্থানে শনিবার সমাবেশ করে পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড়পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিজেই নেচে-নেচে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন।
জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার মানুষের সমাবেশের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এছাড়া নগরীর অলোকার মোড়ে সমবেত হন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করার পর রাজশাহীর এই তিন অনুষ্ঠানেই মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ নেতারা। এখানে পাঁচ মণ মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিজেই নেচে নেচে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন।
এদিকে সকালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রা শেষে সবাই দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বড়পর্দায় সেখানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়। পরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারাসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন- বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, জেলার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষও। আলাদা আলাদা শোভাযাত্রা নিয়ে তারা স্টেডিয়ামে যান। প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখানে অতিথিরা বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা ওড়ান।
এ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতীক। অনেক প্রশ্নের উত্তর এই পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ছিলেন বলেই দেশে পদ্মা সেতু হয়েছে। এই সেতু শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরই নয়, উত্তরাঞ্চলসহ সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখবে। বাঙালি জাতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: নেচে-নেচে অনুষ্ঠান মাতালেন আ.লীগ নেতা
রাজশাহী মহানগরীর তিনটি স্থানে শনিবার সমাবেশ করে পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড়পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিজেই নেচে-নেচে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন।
জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার মানুষের সমাবেশের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এছাড়া নগরীর অলোকার মোড়ে সমবেত হন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করার পর রাজশাহীর এই তিন অনুষ্ঠানেই মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ নেতারা। এখানে পাঁচ মণ মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিজেই নেচে নেচে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন।
এদিকে সকালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রা শেষে সবাই দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বড়পর্দায় সেখানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়। পরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারাসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন- বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, জেলার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষও। আলাদা আলাদা শোভাযাত্রা নিয়ে তারা স্টেডিয়ামে যান। প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখানে অতিথিরা বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা ওড়ান।
এ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতীক। অনেক প্রশ্নের উত্তর এই পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ছিলেন বলেই দেশে পদ্মা সেতু হয়েছে। এই সেতু শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরই নয়, উত্তরাঞ্চলসহ সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখবে। বাঙালি জাতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।