সেপটিক ট্যাংকে গৃহবধূর লাশ, স্বামী-দেবর গ্রেফতার
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
২৬ জুন ২০২২, ১৯:৫১:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে রাশিদা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার সুখিয়া বাজার এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাশিদা খাতুন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আবদুল মোতালিবের মেয়ে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গৃহবধূর স্বামী মাসুদ মিয়া (৪০) ও দেবর সোহেল মিয়া (৩৬)।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে রাশিদা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা করেছেন।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি সারোয়ার জাহান জানান, ২০ বছর আগে রাশিদাকে বিয়ে করেন উপজেলার সুখিয়া গ্রামের মাসুদ। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ও দেবর যৌতুকের জন্য তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। মাঝে মধ্যেই মাসুদকে টাকা দেওয়া হতো। সেই টাকা দিয়ে জুয়া খেলতেন তিনি। এ নিয়ে তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকত।
তিনি জানান, গ্রেফতার মাসুদ মিয়া ও সোহেল মিয়াকে রোববার কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সেপটিক ট্যাংকে গৃহবধূর লাশ, স্বামী-দেবর গ্রেফতার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে রাশিদা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার সুখিয়া বাজার এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাশিদা খাতুন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আবদুল মোতালিবের মেয়ে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গৃহবধূর স্বামী মাসুদ মিয়া (৪০) ও দেবর সোহেল মিয়া (৩৬)।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে রাশিদা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা করেছেন।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি সারোয়ার জাহান জানান, ২০ বছর আগে রাশিদাকে বিয়ে করেন উপজেলার সুখিয়া গ্রামের মাসুদ। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ও দেবর যৌতুকের জন্য তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। মাঝে মধ্যেই মাসুদকে টাকা দেওয়া হতো। সেই টাকা দিয়ে জুয়া খেলতেন তিনি। এ নিয়ে তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকত।
তিনি জানান, গ্রেফতার মাসুদ মিয়া ও সোহেল মিয়াকে রোববার কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।