আয়াকে শ্লীলতাহানি, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আটক
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
২৮ জুন ২০২২, ০১:৫৬:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার একটি মাদ্রাসায় আয়াকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী সিকদারকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করার পর সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
ইদ্রিস আলী মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামে মৃত হাশেম আলী সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় ওই আয়া ভাণ্ডারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ভুক্তভোগী আয়া জানান, সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পরে ফাঁকা শিক্ষক মিলনায়তনে দরজা-জানালা বন্ধ করছিলেন তিনি। তখন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী সিকদার তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় তার (আয়ার) চিৎকারে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আল আমিন খন্দকার ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নাঈম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অধ্যক্ষের হাত থেকে তিনি রক্ষা পান। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে থানা পুলিশ তাক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে আটকে রাখেন।
আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ, মো. শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম ফৌজদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো, জাকির হোসেন, নৈশপ্রহরী মো.আল আমিন জানান, ২০২১ সালের ২৯ মার্চ ওই অধ্যক্ষ এ মাদ্রাসায় যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার বাবা মৃত হাসেম আলী সিকদার স্বাধীনতাবিরোধী চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, সোমবার ৯৯৯ নাম্বারের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আয়াকে শ্লীলতাহানি, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আটক
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার একটি মাদ্রাসায় আয়াকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী সিকদারকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করার পর সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
ইদ্রিস আলী মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামে মৃত হাশেম আলী সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় ওই আয়া ভাণ্ডারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ভুক্তভোগী আয়া জানান, সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পরে ফাঁকা শিক্ষক মিলনায়তনে দরজা-জানালা বন্ধ করছিলেন তিনি। তখন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী সিকদার তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় তার (আয়ার) চিৎকারে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আল আমিন খন্দকার ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নাঈম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অধ্যক্ষের হাত থেকে তিনি রক্ষা পান। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে থানা পুলিশ তাক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে আটকে রাখেন।
আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ, মো. শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম ফৌজদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো, জাকির হোসেন, নৈশপ্রহরী মো.আল আমিন জানান, ২০২১ সালের ২৯ মার্চ ওই অধ্যক্ষ এ মাদ্রাসায় যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার বাবা মৃত হাসেম আলী সিকদার স্বাধীনতাবিরোধী চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, সোমবার ৯৯৯ নাম্বারের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।