কুরবানির গরু চুরির সময় আ.লীগ নেতার ভাইকে গণধোলাই
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২২, ১৬:০৫:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকার ধামরাইয়ে কুরবানির গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়েছেন আমিনুর রহমান। তিনি স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতার ভাই। এ সময় তার সহযোগী দুই চোর পালিয়ে গেছে। পরে তাকে বেঁধে রেখে গণধোলাই দেন গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে তার ভাই ইউপি মেম্বার ও আমতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ওই রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকার মাধ্যমে তার ভাইকে বিচারের কথা বলে ছাড়িয়ে এনেছেন। বুধবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের ভাকুলিয়া গ্রামে।
গ্রামবাসী জানান, এলাকায় চুরির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চৌহাট ইউনিয়নের ভাকুলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আজাহার আলীর বাড়ি থেকে কুরবানির জন্য রাখা গরুটি চুরি করে পালানোর সময় গ্রামবাসীর হাতে আটক হন আমিনুর।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোকমান হোসেন ও আব্দুল হামিদ নামে তার সহযোগী অপর দুই চোর পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী আমিনুরকে গণধোলাই শেষে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে আটক গরুচোরের ভাই ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এর পর বিচারের শর্তে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকা দিয়ে ওই আটক চোরকে ছাড়িয়ে আনেন।
এ বিষয়ে আমতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, একজন মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতার ভাই একজন গরুচোর তা ভাবতেও অবাক লাগে। ওই চোর এলাকার অনেক বদনাম করেছে। তার কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক বলেন, এ বিষয়ে কেউ পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুরবানির গরু চুরির সময় আ.লীগ নেতার ভাইকে গণধোলাই
ঢাকার ধামরাইয়ে কুরবানির গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়েছেন আমিনুর রহমান। তিনি স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতার ভাই। এ সময় তার সহযোগী দুই চোর পালিয়ে গেছে। পরে তাকে বেঁধে রেখে গণধোলাই দেন গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে তার ভাই ইউপি মেম্বার ও আমতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ওই রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকার মাধ্যমে তার ভাইকে বিচারের কথা বলে ছাড়িয়ে এনেছেন। বুধবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের ভাকুলিয়া গ্রামে।
গ্রামবাসী জানান, এলাকায় চুরির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চৌহাট ইউনিয়নের ভাকুলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আজাহার আলীর বাড়ি থেকে কুরবানির জন্য রাখা গরুটি চুরি করে পালানোর সময় গ্রামবাসীর হাতে আটক হন আমিনুর।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোকমান হোসেন ও আব্দুল হামিদ নামে তার সহযোগী অপর দুই চোর পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী আমিনুরকে গণধোলাই শেষে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে আটক গরুচোরের ভাই ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এর পর বিচারের শর্তে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকা দিয়ে ওই আটক চোরকে ছাড়িয়ে আনেন।
এ বিষয়ে আমতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, একজন মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতার ভাই একজন গরুচোর তা ভাবতেও অবাক লাগে। ওই চোর এলাকার অনেক বদনাম করেছে। তার কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক বলেন, এ বিষয়ে কেউ পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে।