শিগগিরই কুড়িগ্রাম-রমনা ট্রেন চলাচল শুরু হবে

 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  
২৪ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৯ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

বন্যার পানিতে রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার এক মাস পেরিয়ে গেলেও কুড়িগ্রাম-রমনা (চিলমারী) রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। অথচ বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

রেলপথের পাশের পানিও নেমে গেছে মাসখানেক আগে। ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও ট্রেন চালু না করা কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট কর্তৃপক্ষ বলছে, খুব শিগগিরই ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

এর আগে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ১ মার্চ চালু হয় রমনা কমিউটার ট্রেন। প্রায় আড়াই মাস চালু থাকলেও রেলপথের পাশে পানি জমায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হলে গত ১৭ জুন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ট্রেনটি কুড়িগ্রাম-চিলমারী রুটে বন্ধ থাকলেও লালমনিরহাট-রংপুর-কুড়িগ্রাম রুটে নিয়মিত চলাচল করছে।

কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথের একটি রেলস্টেশনে কর্মরত এক রেল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই রেলপথটি বরাবরই অবহেলিত। ঠুনকো অজুহাত তুলে কর্তৃপক্ষ এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে। অথচ এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং রেলপথটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী রয়েছে।

কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার সামসুজ্জোহা বলেন, গত জুন মাসে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রুটে চলাচল বন্ধ হওয়ার পর ট্রেনটি বর্তমানে কুড়িগ্রাম স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে। চিলমারী রুটে চলাচলের বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।

কুড়িগ্রাম রেল আন্দোলনের নেতা আব্দুল কাদের বলেন, কুড়িগ্রামে রেল যোগাযোগ উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা থাকলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র লালমনিরহাট রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে জেলায় রেলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই অবিলম্বে চিলমারী পর্যন্ত ট্রেন পুনরায় চালু করা হোক।

তিনি উদ্বেগের কথা জানিয়ে আরও জানান, যে শিডিউল অনুযায়ী রমনা কমিউটার নামে ট্রেনটি এই রুটে চালু করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই যাত্রীবান্ধব নয়। ফলে যাত্রীরা ট্রেনের সুবিধা থেকে বরাবরের মতো বঞ্চিত থাকছেন। যাত্রীবান্ধব শিডিউল তৈরি করে সে অনুযায়ী ট্রেন চালু করতে হবে। তা নাহলে আবারো হয়তো লোকসান কিংবা অন্য কোনো অজুহাত তুলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হতে পারে। 

জানতে চাইলে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আমরা ওই রুটে পুনরায় ট্রেন চালুর বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগিরই কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথে রমনা কমিউটার যাতায়াত শুরু করবে। সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রেলপথটি উলিপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, আগস্টের শুরুতে ওই পথে ট্রেন চলাচল শুরু করবে।
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন