অটোচালককে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ
রংপুর ব্যুরো
০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:১৬:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে দুই ভাই সফিকুল ইসলাম (৩৮) ও সাইফুল ইসলামকে (৪২) ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার বিকালে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
আগে থেকেই দুজনই পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার নেকিরহাট গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আবুল কাশেম অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ৪ জন ব্যক্তি তার অটোরিকশা গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া নামক স্থানে যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেয়। এরপর তারা চালক আবুল কালাম আজাদকে অস্ত্রের মুখে ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার নিহত অটো চালক আবুল কালাম আজাদের মা মোখলেসেনা বেগম বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ রংপুরের সদর উপজেলার গোকলপুর ধনিপাড়া গ্রামের মফিকুল ইসলামের দুই ছেলে সফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি অটোচালককে হত্যা করে অটো ছিনতাই করার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে পুলিশ দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তার আগেই অভিযুক্ত দুই আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক থাকেন।
মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই ভাই সফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী নয়নুর রহমান টফি জানান, সাক্ষ্য প্রমাণে বাদীপক্ষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও দুই আসামি গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার ওপর সাক্ষ্য প্রমাণে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। দুই আসামি গ্রেফতার হবার পর জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেছে আদালত। গ্রেফতার হওয়ার পর রায় কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আলাউদ্দিন আলমগীর জানান, এ রায়ে তার সন্তুষ্ট নয়। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অটোচালককে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ
অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে দুই ভাই সফিকুল ইসলাম (৩৮) ও সাইফুল ইসলামকে (৪২) ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার বিকালে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
আগে থেকেই দুজনই পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার নেকিরহাট গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আবুল কাশেম অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ৪ জন ব্যক্তি তার অটোরিকশা গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া নামক স্থানে যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেয়। এরপর তারা চালক আবুল কালাম আজাদকে অস্ত্রের মুখে ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার নিহত অটো চালক আবুল কালাম আজাদের মা মোখলেসেনা বেগম বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ রংপুরের সদর উপজেলার গোকলপুর ধনিপাড়া গ্রামের মফিকুল ইসলামের দুই ছেলে সফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি অটোচালককে হত্যা করে অটো ছিনতাই করার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে পুলিশ দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তার আগেই অভিযুক্ত দুই আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক থাকেন।
মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই ভাই সফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী নয়নুর রহমান টফি জানান, সাক্ষ্য প্রমাণে বাদীপক্ষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও দুই আসামি গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার ওপর সাক্ষ্য প্রমাণে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। দুই আসামি গ্রেফতার হবার পর জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেছে আদালত। গ্রেফতার হওয়ার পর রায় কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আলাউদ্দিন আলমগীর জানান, এ রায়ে তার সন্তুষ্ট নয়। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।