কাঁদতে কাঁদতে দোয়া চাইলেন মিরাক্কেলখ্যাত অভিনেতা রনির মা

 বিনোদন ডেস্ক 
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ‘মীরাক্কেল’খ্যাত জনপ্রিয় কমেডিয়ান আবু হেনা রনি।

শ্বাসনালিসহ শরীরের ৩০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে রনির। 

ছেলের এমন শারীরিক অবস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রনির মা বিনা বেগম। 

শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে ছেলের অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঠিকমতো কথাই বলতে পারছিলেন না।  

কাঁদতে কাঁদতে বিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে অসুস্থ। আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন করছি আল্লার কাছে দোয়া করতে যাতে ওকে আমার কোলে ফিরিয়ে দেন। ’

এটুকু বলেই ফের কাঁদতে থাকেন তিনি। 

এ সময় অভিনেতা রনির কাকা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ও আমার ভাতিজা। সবাইকে ভালোবাসে। একসঙ্গে চলতে পছন্দ করে। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। ’

রনির পরিবারের অন্য এক সদস্য বলেন, ‘আমাদের সংসারের একমাত্র অবলম্বন রনি। সেই ছেলেই অসুস্থ। আল্লাহ তুমি রনিকে আমাদের বুকে ফিরিয়ে দাও। আমি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি ওর জন্য দোয়া করুন। ’

শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনায় রনি ছাড়াও দগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।  

বাকি ৪ আহত হলেন— গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল রুবেল মিয়া, কনস্টেবল জিল্লুর রহমান ও কনস্টেবল ইমরান হোসেন। ’

আহতদের মধ্যে রনির অবস্থাই বেশি আশঙ্কাজনক।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, আহতদের প্রথমে দ্রুত শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  পরে তাদের মধ্যে আবু হেনা রনি, জিল্লুর রহমান ও মোশারফ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে কীভাবে বেলুনগুলো বিস্ফোরিত হলো, সেই প্রশ্নে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর ওসি রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘বেলুন নিয়ে মঞ্চের পেছনে যাওয়ার পর কয়েকজন বেলুনে লাগানো গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লেখা ফেস্টুন বেলুন  খুলতে চেষ্টা করতে থাকে। তখন কেউ একজন ফেস্টুনের সুতা লাইটার জ্বালিয়ে বিচ্ছিন্ন করতে চেষ্টা করে। তখনই আগুন লেগে বেলুনগুলো ব্লাস্ট হয়ে যায়।’
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন