যেভাবে বেঁচে ফিরলেন যশোবালা-শুকাতু দম্পতি

 মাহবুব রহমান, রংপুর ব্যুরো 
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:২৪ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মোট ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন; বেঁচে ফিরেছেন অনেকে। বেঁচে ফেরাদের মধ্যে রয়েছেন যশোবালা-শুকাতু দম্পতি। গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাদের বেঁচে ফেরার কথা।

স্বামীর সঙ্গে প্রথমবারের মতো মহালয়া দেখতে যাওয়ার কথা ভেবে মনে মনে আনন্দে ছিলেন যশোবালা (৫১)। বিয়ের ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও একসঙ্গে মহালয়া দেখতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তাদের।

নতুন শাড়ি আর ধুতি পরে আউলিয়া ঘাটে নৌকায় উঠেন যশোবালা-শুকাতু দম্পতি। শুরুতে দুলতে দুলতে মাঝপথে গিয়ে ডুবে যায় নৌকাটি। চারপাশে মানুষের মুখ ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না।

যশোবালা জানান, সবার চোখে-মুখে শুধু বেঁচে থাকার আকুতি। তবে ছোটবেলা থেকেই সাঁতার জানতেন তিনি। তাই সাঁতার কেটে ছোট একটি নৌকায় ওঠেন। সেখানে দেখতে পান তার স্বামী ওই নৌকায় অজ্ঞান হয়ে শুয়ে আছেন।

পরে দুজনকে উদ্ধার করে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তারা দুজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের বাড়ি বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপর পাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০-৬০ জনের ধারণক্ষমতার নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। 

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় বলেন, আমাদের উদ্ধারকাজ চলছে। যদি একজনও নিখোঁজ থাকে তাকে উদ্ধারে কাজ চলবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন