ম্যাজিস্ট্রেট সেজে প্রতারণা
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেল দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয় নেওয়ার অভিযাগে উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে ‘ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামে এক দোকানে প্রতারণাকালে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন তিনি। পরে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাঝে দানা বাঁধছে ক্ষোভ।
শহরের থানা মোড় এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মিঠু মিয়া জানান, রৌমারী ইউএনওর কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হাই নিজেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে আমার কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে না পারলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই বছরের জেল এবং দোকান সিলগালা করার ভয় দেখান।
এ সময় দাবিকৃত টাকা তার হাতে নগদ দিতে চাইলে তিনি একটি বিকাশের দোকান থেকে তার দেওয়া নাম্বারে ৩৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে বলেন।
ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ওই অফিস সহকারী গত বুধবার রাত ৮টার দিকে আমার অনুপস্থিতে দোকানে আসেন এবং দোকান অপরিষ্কার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ত্রুটির কথা বলে কর্মচারীদের দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করেন। একপর্যায় উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করেন। পরে ওই অফিস সহকারী পুলিশি ঝামেলা এড়াতে প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় রৌমারী সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল করিম এবং ২নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলাম রানা তাকে জিম্মায় নেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ৩৫ হাজার টাকা ফেরত দেন ওই অফিস সহকারী।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল করিম বলেন, সবকিছু জানাজানির পর ভুল শিকার করে ক্ষমা চান অফিস সহকারী আব্দুল হাই। দুই-তিন দিনের মধ্যে প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
অপর ইউপি ২নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলাম রানা বলেন, প্রতারণার শিকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মিন্টু মিয়াকে ৩৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে অফিস সহকারী আব্দুল হাই।
জনতার হাত আটক হওয়ার কথা স্বীকার করে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হাই বলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ফোন পেয়ে ওই দুই দোকানে যাই। এ সময় লোকজন জড়ো হয়ে আমাকে আটক করেন। পরে চাপের মুখ তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেই। পরদিন বৃহস্পতিবার ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ পবন আখতার বলেন, এসব বিষয় আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে বিস্তারিত বলতে পারব।
ম্যাজিস্ট্রেট সেজে প্রতারণা
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১১ অক্টোবর ২০২২, ২১:৩৪:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেল দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয় নেওয়ার অভিযাগে উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে ‘ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামে এক দোকানে প্রতারণাকালে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন তিনি। পরে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাঝে দানা বাঁধছে ক্ষোভ।
শহরের থানা মোড় এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মিঠু মিয়া জানান, রৌমারী ইউএনওর কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হাই নিজেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে আমার কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে না পারলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই বছরের জেল এবং দোকান সিলগালা করার ভয় দেখান।
এ সময় দাবিকৃত টাকা তার হাতে নগদ দিতে চাইলে তিনি একটি বিকাশের দোকান থেকে তার দেওয়া নাম্বারে ৩৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে বলেন।
ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ওই অফিস সহকারী গত বুধবার রাত ৮টার দিকে আমার অনুপস্থিতে দোকানে আসেন এবং দোকান অপরিষ্কার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ত্রুটির কথা বলে কর্মচারীদের দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করেন। একপর্যায় উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করেন। পরে ওই অফিস সহকারী পুলিশি ঝামেলা এড়াতে প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় রৌমারী সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল করিম এবং ২নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলাম রানা তাকে জিম্মায় নেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ৩৫ হাজার টাকা ফেরত দেন ওই অফিস সহকারী।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল করিম বলেন, সবকিছু জানাজানির পর ভুল শিকার করে ক্ষমা চান অফিস সহকারী আব্দুল হাই। দুই-তিন দিনের মধ্যে প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
অপর ইউপি ২নং ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলাম রানা বলেন, প্রতারণার শিকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মিন্টু মিয়াকে ৩৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে অফিস সহকারী আব্দুল হাই।
জনতার হাত আটক হওয়ার কথা স্বীকার করে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হাই বলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ফোন পেয়ে ওই দুই দোকানে যাই। এ সময় লোকজন জড়ো হয়ে আমাকে আটক করেন। পরে চাপের মুখ তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেই। পরদিন বৃহস্পতিবার ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ পবন আখতার বলেন, এসব বিষয় আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে বিস্তারিত বলতে পারব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023