ধর্ষণ মামলার ১৬ বছর পর যাবজ্জীবন
কুড়িগ্রামে ১৬ বছর আগে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। ২০০৭ সালে দায়ের করা মামলায় আসামি আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত আবুল কালাম উলিপুরের ধামশ্রেণি ইউনিয়নের আবদুল মজিদের ছেলে। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আবুল কালাম ২০০৬ সালের অক্টোবর উলিপুরের এক নারীকে ধর্ষণ করেন। ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে ওই নারী ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবুল কালামকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলেও আসামি সন্তানের দায় স্বীকার করেননি। পরে ২০১১ সালে ভুক্তভোগী নারী আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করলে আদালতে সেই আবেদন খারিজ করা হয়। পরে ওই নারী উচ্চ আদালতে যান।
উচ্চ আদালত ২০১৯ সালে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিলে পরীক্ষায় ভুক্তভোগী নারী ও আসামি আবুল কালাম ওই সন্তানের মা-বাবা বলে প্রমাণিত হয়। এরপরে আদালত সামগ্রিক দিক বিবেচনায় আবুল কালামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল হক সরকার বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।
ধর্ষণ মামলার ১৬ বছর পর যাবজ্জীবন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১২ অক্টোবর ২০২২, ২২:১৮:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কুড়িগ্রামে ১৬ বছর আগে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। ২০০৭ সালে দায়ের করা মামলায় আসামি আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত আবুল কালাম উলিপুরের ধামশ্রেণি ইউনিয়নের আবদুল মজিদের ছেলে। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আবুল কালাম ২০০৬ সালের অক্টোবর উলিপুরের এক নারীকে ধর্ষণ করেন। ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে ওই নারী ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবুল কালামকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলেও আসামি সন্তানের দায় স্বীকার করেননি। পরে ২০১১ সালে ভুক্তভোগী নারী আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করলে আদালতে সেই আবেদন খারিজ করা হয়। পরে ওই নারী উচ্চ আদালতে যান।
উচ্চ আদালত ২০১৯ সালে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিলে পরীক্ষায় ভুক্তভোগী নারী ও আসামি আবুল কালাম ওই সন্তানের মা-বাবা বলে প্রমাণিত হয়। এরপরে আদালত সামগ্রিক দিক বিবেচনায় আবুল কালামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল হক সরকার বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023