বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যু, ৫ বছর পর মামলার আবেদন স্ত্রীর
নোয়াখালী প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০২২, ২০:১৩:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১০ মামলার আসামি যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনার ৫ বছর পর নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে ডিআইজি মো. ইলিয়াস শরীফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্প বেগম।
রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে তিনি মামলার আবেদন করলে আদালতের বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
মামলার বাদী বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নিহত হুদা মো. আলমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্পা বেগম (৩৫)।
মামলায় আসামি করা হয়- নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ (বর্তমানে ডিআইজি), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ এবং ওই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বেগমগঞ্জের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুদা মো. আলমকে বিভিন্ন মামলার আসামি বলে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওই রাতে ওসি বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য দেন। তবে রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে অস্ত্র উদ্ধারের নামে গ্রেফতার হুদা মো. আলমকে হিংসার বশবর্তী হয়ে দাসপাড়া গ্রামে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পরদিন হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবার ওই সময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে।
তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস ও সাইফুর রহমান প্রামাণিক।
এ সময় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যু, ৫ বছর পর মামলার আবেদন স্ত্রীর
নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১০ মামলার আসামি যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনার ৫ বছর পর নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে ডিআইজি মো. ইলিয়াস শরীফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্প বেগম।
রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে তিনি মামলার আবেদন করলে আদালতের বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
মামলার বাদী বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নিহত হুদা মো. আলমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্পা বেগম (৩৫)।
মামলায় আসামি করা হয়- নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ (বর্তমানে ডিআইজি), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ এবং ওই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বেগমগঞ্জের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুদা মো. আলমকে বিভিন্ন মামলার আসামি বলে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওই রাতে ওসি বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য দেন। তবে রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে অস্ত্র উদ্ধারের নামে গ্রেফতার হুদা মো. আলমকে হিংসার বশবর্তী হয়ে দাসপাড়া গ্রামে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পরদিন হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবার ওই সময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে।
তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস ও সাইফুর রহমান প্রামাণিক।
এ সময় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।