পুলিশের তাড়ায় যুবক নিখোঁজ: ২ কনস্টেবল বরখাস্ত
ভোলা ও দৌলতখান প্রতিনিধি
২৫ নভেম্বর ২০২২, ১৬:০৭:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ যুবক নোমানের (২৫) সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবারও অভিযানে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ডুবুরি দল। এ ছাড়া পুলিশ, কোস্টগার্ড পৃথক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনায় পুলিশের এসআই স্বরূপ কান্তি পাল ও এএসআই সোহেল রানাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল মো. রাসেল ও সজিব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. জহুরুল ইসলাকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘনা নদীর পাড়ের হাজারিবাড়ির দরজায় কয়েকজন তাস খেলার সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে ৩ যুবক নদীতে লাফিয়ে পড়েন। ওই সময় আবুল কালাম বেপারীর ছেলে মো. নোমান (২৫ ) নিখোঁজ হন।
জেলেদের অভিযোগ, মাছ ধরার ফাঁকে অবসর সময়ে জেলেদের সঙ্গে নোমানও নদীর পাড়ে তাস খেলছিলেন। ওই সময় পুলিশের ৪ জনের একটি টিম ওই মাছ ঘাটে আসে। পুলিশ দেখে জেলেরা দ্রুত পালাতে গিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবলরা জেলেদের দিকে ইট ছুঁড়ে মারতে থাকে। মাথায় আঘাত লাগায় নোমান ওপরে উঠে আসতে পারেনি।
দৌলতখান থানার ওসি জাকির হোসেন অবশ্য দাবি করেন, পুলিশ টহলে গেলে জেলেরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে পালাতে গিয়ে একজন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওই এলাকার জেলেদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জেলেরা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পুলিশের তাড়ায় যুবক নিখোঁজ: ২ কনস্টেবল বরখাস্ত
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ যুবক নোমানের (২৫) সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবারও অভিযানে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ডুবুরি দল। এ ছাড়া পুলিশ, কোস্টগার্ড পৃথক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনায় পুলিশের এসআই স্বরূপ কান্তি পাল ও এএসআই সোহেল রানাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল মো. রাসেল ও সজিব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. জহুরুল ইসলাকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘনা নদীর পাড়ের হাজারিবাড়ির দরজায় কয়েকজন তাস খেলার সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে ৩ যুবক নদীতে লাফিয়ে পড়েন। ওই সময় আবুল কালাম বেপারীর ছেলে মো. নোমান (২৫ ) নিখোঁজ হন।
জেলেদের অভিযোগ, মাছ ধরার ফাঁকে অবসর সময়ে জেলেদের সঙ্গে নোমানও নদীর পাড়ে তাস খেলছিলেন। ওই সময় পুলিশের ৪ জনের একটি টিম ওই মাছ ঘাটে আসে। পুলিশ দেখে জেলেরা দ্রুত পালাতে গিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবলরা জেলেদের দিকে ইট ছুঁড়ে মারতে থাকে। মাথায় আঘাত লাগায় নোমান ওপরে উঠে আসতে পারেনি।
দৌলতখান থানার ওসি জাকির হোসেন অবশ্য দাবি করেন, পুলিশ টহলে গেলে জেলেরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে পালাতে গিয়ে একজন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওই এলাকার জেলেদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জেলেরা অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।