ঈশ্বরদীর সেই ৩৭ কৃষকের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৫২:১১ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদীর সেই ৩৭ কৃষক তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে সোমবার ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারী সবজি সমবায় সমিতির সভাপতি বিলকিস নাহার প্রত্যাহারের লিখিত আবেদনপত্র নিয়ে গেলে তাকে জেলা কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বলেন কর্মকর্তা আকন্দ রাব্বেউল্লাহ।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পাবনা কার্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দেন।
জামিনে মুক্ত হওয়া কৃষক শহিদুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেনসহ কয়েকজন জানান, আমরা আবার কৃষিকাজে মাঠে এসেছি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার হলে শান্তিতে কাজ করতে পারতাম।
মঙ্গলবার ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিলকিস নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবার ঈশ্বরদী সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম আবেদন নিয়ে। তিনি পাবনায় দিতে বলেছেন। সেই জন্য আমি এখন পাবনা কার্যালয়ে এসেছি দরখাস্ত জমা দিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আকন্দ রাব্বেউল্লাহ বলেন, ‘ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি বিলকিস নাহার আবেদন নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাদের বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার ও পাবনা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে পাবনা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী জসিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার আবেদন পেয়েছি। এটি প্রধান কার্যালয়ে মহাব্যবস্থাপক বরাবর পাঠাব।
২০১৬ সালে ঈশ্বরদীর ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষক গ্রুপভিত্তিতে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে জনপ্রতি ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেন। ঋণখেলাপির দায়ে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তখনকার ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বাদী হয়ে ৩৭ কৃষকের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত রোববার দুপুরে ওই ১২ জন ও বিকালে বাকি ২৫ জন কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঈশ্বরদীর সেই ৩৭ কৃষকের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন
ঈশ্বরদীর সেই ৩৭ কৃষক তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে সোমবার ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারী সবজি সমবায় সমিতির সভাপতি বিলকিস নাহার প্রত্যাহারের লিখিত আবেদনপত্র নিয়ে গেলে তাকে জেলা কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বলেন কর্মকর্তা আকন্দ রাব্বেউল্লাহ।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পাবনা কার্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দেন।
জামিনে মুক্ত হওয়া কৃষক শহিদুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেনসহ কয়েকজন জানান, আমরা আবার কৃষিকাজে মাঠে এসেছি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার হলে শান্তিতে কাজ করতে পারতাম।
মঙ্গলবার ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিলকিস নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবার ঈশ্বরদী সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম আবেদন নিয়ে। তিনি পাবনায় দিতে বলেছেন। সেই জন্য আমি এখন পাবনা কার্যালয়ে এসেছি দরখাস্ত জমা দিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আকন্দ রাব্বেউল্লাহ বলেন, ‘ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি বিলকিস নাহার আবেদন নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাদের বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার ও পাবনা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে পাবনা সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী জসিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার আবেদন পেয়েছি। এটি প্রধান কার্যালয়ে মহাব্যবস্থাপক বরাবর পাঠাব।
২০১৬ সালে ঈশ্বরদীর ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষক গ্রুপভিত্তিতে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে জনপ্রতি ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেন। ঋণখেলাপির দায়ে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তখনকার ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বাদী হয়ে ৩৭ কৃষকের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত রোববার দুপুরে ওই ১২ জন ও বিকালে বাকি ২৫ জন কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।