গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে গৃহকর্তার মৃত্যু
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২২, ২০:৪৪:৪২ | অনলাইন সংস্করণ
মুলাদীতে আগুনে একটি বসত ঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিভানো ও গরু বাঁচাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গৃহকর্তা মো. জসিম বেপারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক শিশু খেলার ছলে পাটখড়িতে আগুন দেওয়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিহত জসিম বেপারী চরকালেখান গ্রামের আয়নাল বেপারীর ছেলে। তিনি রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মীম আক্তার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জসিম বেপারীর তিন বছরের শিশুপুত্র রান্নাঘর থেকে একটি পাটখড়িতে আগুন লাগায়। পরে পাটখড়িটি নিয়ে বসতঘরের পাশে রাখা পাটখড়ির স্তূপের কাছে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে আগুন লাগে। এ সময় জসিম বেপারী ও তার স্ত্রীর ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ি ও বাজারের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ঘরের মধ্যে শুকনো পাট থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরের মধ্যে প্রায় সব মালামাল পুড়ে যায়।
একপর্যায়ে গরুর ঘরে আগুন লাগলে ৩টি গরু আহত হয়। জসিম বেপারী গরুগুলোর বাঁধন খুলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুলাদী হাসপাতালের চিকিৎসক মো. সাইদী হাসান বাঁধন জানান, জসিম বেপারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গায়ে পোড়া কিংবা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে গৃহকর্তার মৃত্যু
মুলাদীতে আগুনে একটি বসত ঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিভানো ও গরু বাঁচাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গৃহকর্তা মো. জসিম বেপারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক শিশু খেলার ছলে পাটখড়িতে আগুন দেওয়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিহত জসিম বেপারী চরকালেখান গ্রামের আয়নাল বেপারীর ছেলে। তিনি রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মীম আক্তার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জসিম বেপারীর তিন বছরের শিশুপুত্র রান্নাঘর থেকে একটি পাটখড়িতে আগুন লাগায়। পরে পাটখড়িটি নিয়ে বসতঘরের পাশে রাখা পাটখড়ির স্তূপের কাছে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে আগুন লাগে। এ সময় জসিম বেপারী ও তার স্ত্রীর ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ি ও বাজারের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ঘরের মধ্যে শুকনো পাট থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরের মধ্যে প্রায় সব মালামাল পুড়ে যায়।
একপর্যায়ে গরুর ঘরে আগুন লাগলে ৩টি গরু আহত হয়। জসিম বেপারী গরুগুলোর বাঁধন খুলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুলাদী হাসপাতালের চিকিৎসক মো. সাইদী হাসান বাঁধন জানান, জসিম বেপারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গায়ে পোড়া কিংবা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।