বিয়েতে গহনা নিয়ে সংঘর্ষে কনের দাদি নিহত, বরসহ গ্রেফতার ১২

 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 
০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫৮ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামে বিয়েবাড়িতে কনের গহনা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষে কনের দাদি তহুরন নেছা (৭০) নিহত হন। এতে ভেঙে যায় বিয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ বরসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নাগেশ্বরী উপজেলার গোলের হাট গ্রামের নূরজামাল ইসলামের মেয়ে জেসমিন আকতারের (১৯) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের ঘুন্টিঘর এলাকার আলিফ উদ্দিনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রিপনের (২৩) বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরযাত্রী আসে কনের বাড়িতে। ভোজন শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কনে সাজাতে গিয়ে বরপক্ষের দেওয়া গহনা নিয়ে দুইপক্ষের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় কনেপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এরই মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় কনের দাদি তহুরন নেছাকে ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।

কনে জেসমিন আকতার জানান, আমার চোখের সামনে আমার দাদিকে খাটের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছে বরের লোকজন। আমি এর বিচার চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই। খুনির পরিবারে আর বিয়ে নয়।

কনের মা রুপালী পারভীন বলেন, বরপক্ষ দুইটি সোনার গহনা দেওয়ার কথা ছিল। কনে সাজানোর সময় সেগুলো না দেওয়ায় দুইপক্ষের মাঝে ঝগড়া বাধে। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার শাশুড়িকে তারা মারপিট করলে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আমার শাশুড়ি মারা যান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বরসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

কচাকাটা থানার ওসি গোলাম মর্তূজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে কচাকাটা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন