লঞ্চ থেকে পড়ে মেঘনায় যাত্রী নিখোঁজ
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:২৩:২১ | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সীমানাসংলগ্ন চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে এক যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিখোঁজ যাত্রীর ৫ সহযাত্রীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
নিখোঁজ যাত্রীর নাম হযরত আলী (১৭)। সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আটক পাঁচ সহযাত্রী হলেন- সজল (১৭), রিফাত (১৮), রিফাত (১৯), জোনায়েদ (১৬), জয়নাল আবেদীন (৩০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজ যাত্রীর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক লঞ্চ টার্মিনাল থেকে দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুরের বেলতলী লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এমএল হাসিব নামে একটি লঞ্চ। এ সময় লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন নিখোঁজ হযরত আলী ও তার পাঁচ বন্ধু। লাঞ্চটি শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে কিছুটা সামনে এলে অসাবধানতাবশত পা পিছলে নদীতে পড়ে যান হযরত আলী।
এ সময় কিছু লোক লঞ্চের চালককে নদীতে যাত্রী পড়ে যাওয়ার খবরটি জানালে তিনি ইঞ্জিন বন্ধ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে দুজন যাত্রী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে হযরত আলীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা পানিতে নামার আগেই হযরত আলী পানিতে ডুবে যান। পরে বিষয়টি তারা গজারিয়া কোস্টগার্ডকে অবহিত করলে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক যাত্রীর অভিমত, লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে থাকা সবাইকে নেশাগ্রস্ত মনে হয়েছে। লঞ্চ থেকে হযরত আলী পানিতে পড়ে যাবার পর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার পরিবর্তে হাসছিল তারা। তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় অন্য যাত্রীরা তাদের জেরা করেন। এ সময় গাঁজা সেবন করে লঞ্চে উঠার কথা স্বীকার করেন তারা।
লঞ্চের সুপারভাইজার সোলেমান বলেন, যাত্রীর নদীতে পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝনদীতে লঞ্চ নোঙর করে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। স্রোতের টানে তলিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ, গজারিয়া কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে জানানো হয়েছে।
গজারিয়া কোস্টগার্ডের ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন জানান, সোমবার বিকাল পর্যন্ত নিখোঁজ যাত্রীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিখোঁজ হযরত আলীর সহযাত্রী পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লঞ্চ থেকে পড়ে মেঘনায় যাত্রী নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সীমানাসংলগ্ন চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে এক যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিখোঁজ যাত্রীর ৫ সহযাত্রীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
নিখোঁজ যাত্রীর নাম হযরত আলী (১৭)। সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আটক পাঁচ সহযাত্রী হলেন- সজল (১৭), রিফাত (১৮), রিফাত (১৯), জোনায়েদ (১৬), জয়নাল আবেদীন (৩০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজ যাত্রীর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক লঞ্চ টার্মিনাল থেকে দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুরের বেলতলী লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এমএল হাসিব নামে একটি লঞ্চ। এ সময় লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন নিখোঁজ হযরত আলী ও তার পাঁচ বন্ধু। লাঞ্চটি শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে কিছুটা সামনে এলে অসাবধানতাবশত পা পিছলে নদীতে পড়ে যান হযরত আলী।
এ সময় কিছু লোক লঞ্চের চালককে নদীতে যাত্রী পড়ে যাওয়ার খবরটি জানালে তিনি ইঞ্জিন বন্ধ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে দুজন যাত্রী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে হযরত আলীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা পানিতে নামার আগেই হযরত আলী পানিতে ডুবে যান। পরে বিষয়টি তারা গজারিয়া কোস্টগার্ডকে অবহিত করলে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক যাত্রীর অভিমত, লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে থাকা সবাইকে নেশাগ্রস্ত মনে হয়েছে। লঞ্চ থেকে হযরত আলী পানিতে পড়ে যাবার পর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার পরিবর্তে হাসছিল তারা। তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় অন্য যাত্রীরা তাদের জেরা করেন। এ সময় গাঁজা সেবন করে লঞ্চে উঠার কথা স্বীকার করেন তারা।
লঞ্চের সুপারভাইজার সোলেমান বলেন, যাত্রীর নদীতে পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝনদীতে লঞ্চ নোঙর করে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। স্রোতের টানে তলিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ, গজারিয়া কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে জানানো হয়েছে।
গজারিয়া কোস্টগার্ডের ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন জানান, সোমবার বিকাল পর্যন্ত নিখোঁজ যাত্রীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিখোঁজ হযরত আলীর সহযাত্রী পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।