আসামির জামিনে প্রতারণা, কারাগারে আইনজীবী
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৩০:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
জয়পুরহাটে ব্যাংকের চালান জালিয়াতির মামলায় সোহেল রানা নামে এক আসামিকে বাঁচাতে গিয়ে আইনজীবী আনিসুর রহমান নিজেই এখন কারাগারে।
সোমবার বিকালে জয়পুরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাসের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংকের চেকের মামলার আসামি স্থানীয় ফিড ব্যবসায়ী সোহেল রানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ব্যাংকে চালান জালিয়াতি করে তার জামিন করাতে অবশেষে নিজেই ফেঁসে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ওই মামলার বিবরণে জানা গেছে, আইনজীবী আনিছুর রহমান ও তার মহুরার ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর চেক জালিয়াতির মামলায় কারাগারে থাকা আসামি স্থানীয় ফিড ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ব্যাংকে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে আদালত থেকে জামিন পাইয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার বিবাদী পক্ষ ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, ওই চালানে ব্যাংকে কোনো টাকাই জমা হয়নি। বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে এ ব্যাপারে পুলিশকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
এমন অবস্থায় আইনজীবী আনিছুর রহমান নিজেকে বাঁচাতে আসামি সোহেল রানার বড় ভাই আবদুল করিম, তার বোন পারুল বেগম ও দালাল নসু বাবুর নামসহ ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
অপরদিকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়পুরহাট গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলাম আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তে এ দুর্নীতির (ব্যাংক চালান জালিয়াতি) ব্যাপারে এ মামলার বাদী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান (৪৭), জয়পুরহাট কারাগারের কারারক্ষী আমিনুল ইসলাম (৪৩), দালাল মাহফুজ ইসলাম ওরফে নসু বাবু (৪৫), আইনজীবীর মহুরার আজিজার রহমান (৫৩), সিল তৈরি ব্যবসায়ী নাজমুল হক (৫১) ও পারুল বেগমসহ (৪২) ছয়জনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
পরবর্তী ৮ নভেম্বর তিনি এ মামলার বাদী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান, কারারক্ষী আমিনুল ইসলামসহ জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ৬ জনের নামে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম সাংবাদিকদের জানান, তদন্তে একজন আইনজীবীসহ ৬ জনের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়ায় এ ব্যাপারে ৮ নভেম্বর জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আসামির জামিনে প্রতারণা, কারাগারে আইনজীবী
জয়পুরহাটে ব্যাংকের চালান জালিয়াতির মামলায় সোহেল রানা নামে এক আসামিকে বাঁচাতে গিয়ে আইনজীবী আনিসুর রহমান নিজেই এখন কারাগারে।
সোমবার বিকালে জয়পুরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাসের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংকের চেকের মামলার আসামি স্থানীয় ফিড ব্যবসায়ী সোহেল রানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ব্যাংকে চালান জালিয়াতি করে তার জামিন করাতে অবশেষে নিজেই ফেঁসে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ওই মামলার বিবরণে জানা গেছে, আইনজীবী আনিছুর রহমান ও তার মহুরার ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর চেক জালিয়াতির মামলায় কারাগারে থাকা আসামি স্থানীয় ফিড ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ব্যাংকে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে আদালত থেকে জামিন পাইয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার বিবাদী পক্ষ ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, ওই চালানে ব্যাংকে কোনো টাকাই জমা হয়নি। বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে এ ব্যাপারে পুলিশকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
এমন অবস্থায় আইনজীবী আনিছুর রহমান নিজেকে বাঁচাতে আসামি সোহেল রানার বড় ভাই আবদুল করিম, তার বোন পারুল বেগম ও দালাল নসু বাবুর নামসহ ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
অপরদিকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়পুরহাট গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলাম আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তে এ দুর্নীতির (ব্যাংক চালান জালিয়াতি) ব্যাপারে এ মামলার বাদী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান (৪৭), জয়পুরহাট কারাগারের কারারক্ষী আমিনুল ইসলাম (৪৩), দালাল মাহফুজ ইসলাম ওরফে নসু বাবু (৪৫), আইনজীবীর মহুরার আজিজার রহমান (৫৩), সিল তৈরি ব্যবসায়ী নাজমুল হক (৫১) ও পারুল বেগমসহ (৪২) ছয়জনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
পরবর্তী ৮ নভেম্বর তিনি এ মামলার বাদী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান, কারারক্ষী আমিনুল ইসলামসহ জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ৬ জনের নামে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম সাংবাদিকদের জানান, তদন্তে একজন আইনজীবীসহ ৬ জনের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়ায় এ ব্যাপারে ৮ নভেম্বর জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা হয়।